অশ্লীল ভঙ্গিতে সুন্দরী রমণী ইমাম গাজ্জালীকে কাবু করতে চাইলোও তা পারলো না

আল্লাহর অলি ইমাম গাজ্জালিকে এক সুন্দরী যুবতী তার ঘরের মধ্যে আটকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অতঃপর অশ্লীল ভঙ্গিতে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ইমাম গাজ্জালীর কাছে নিজেকে সঁপে দিতে চায়।সেই সুন্দরী যুবতীর হাত থেকে নিজের চরিত্র হেফাজত করতে ইমাম গাজ্জালী এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল প্রদর্শক ।

অশ্লীল ভঙ্গিতে সুন্দরী রমণী ইমাম গাজ্জালীকে কাবু করতে চাইলোও তা পারলো না

আল্লাহর অলি ইমাম গাজ্জালীর সেই জগৎ বিখ্যাত চরিত্র রক্ষাকারী ঘটনাটি জানতে।শেষ পর্যন্ত দেখুন । এক সম্ভ্রান্ত সুন্দরী যুবতী যুবক ইমাম গাজ্জালীর প্রতি প্রবল আকর্ষণ অনুভব করতে লাগলো । সে নারি জানত যে পর পুরুষের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করা গুনাহের কাজ।

অশ্লীল ভঙ্গিতে সুন্দরী রমণী ইমাম গাজ্জালীকে কাবু করতে চাইলোও তা পারলো না

কিন্তু ইমাম গাজ্জালীর চারিত্রিক সনদ এবং তার মনমুগ্ধকর চাহুনি সে নারীকে মাতাল করে ফেলত । সেই সুন্দরী রমণীর বিভিন্নভাবে ইমাম গাজ্জালিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে । কিন্তু ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি সেই নারীর উপর কোন চোখ তুলেও তাকায় নি।

এতে সে নারী দিনদিন জেদ আরো বেড়ে গেল

এতে সে নারী দিনদিন জেদ আরো বেড়ে গেল। একদিন সে নারী তার ফাঁকা বাড়িতে ইমাম গাজ্জালিকে আসতে বলব । স্বভাবতই ইমাম গাজ্জালী তাতে রাজি হলো না । কিছুদিন পর মেয়েটি তাকে বাড়িতে আনার জন্য একটি চক্রান্ত করল ।

মেয়েটি তার বাড়ির একটা কাজের মেয়ে  শিখে শিখিয়ে দিলো ওই বাড়িতে যে যুবকটা আছে তাকে গিয়ে বলবে যে বাড়িতে ছোট্ট একটা বাচ্চা বিপদে পড়ে কান্না করছে । আপনি একটু এসে তাকে উদ্ধার করুন। এরূপ বললে হয়তো সে আমার ঘরেই চলে আসবে ।

সে তার মালিকে নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করল এবং ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি ফাঁকা বাড়িতে আনতে সক্ষম হল। এরপর সেই যুবতী ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি কে তার ঘরে কৈওশোল গত ভাবে ঢুকায় এবং অনেকটা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় অশ্লীল ভঙ্গিতে নিজেকে সঁপে দিতে চাইল।

কিন্তু ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহির সাথে সাথে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সাহায্য চাইলেন এবং নিজের চরিত্র হেফাজতের রাস্তা খুঁজতে থাকলে। যুবক ইমাম গাজ্জালিকে বলল আপনি যদি আজ  আমার মনোবাসনা পূরণ না করেন তবে আমি চিৎকার চেঁচামেচি করি এলাকাবাসীকে জানিয়ে দিব, আপনি চরিত্র হরন করার উদ্দেশ্যেই আমার বাড়িতে প্রবেশ করেছে্ন।

চারদিকে প্রখর দৃষ্টিপাত করতে থাকলেন

এভাবেই তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে চারদিকে প্রখর দৃষ্টিপাত করতে থাকলেন। কিভাবে এখান থেকে উদ্ধার হওয়া যায় ভাবতে থাকলেন।সেখান থেকে বের হয়ে আসা দুঃসাধ্য ব্যাপার কিন্তু আল্লাহ চাইলে অবশ্যই সম্ভব। হঠাৎ করে তার মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো ।

ইমাম গাজ্জালী সে যুবতীকে বলল আমি একটু টয়লেটে যেতে চাই। মেয়েটা বলল যান তবে বেশি দেরি করবেন না। আপনার প্রিয় ত্তম বায়ু অপেক্ষা করছে আপনার জন্য । ইমাম গাজ্জালী এরপর দ্রুত চলে গেল এবং বাধ্য হয়ে সেই টয়লেটে থাকা নোংরা পানি আবর্জনা মহিলা তার শরীরে মেখে নিল । যাতে তার শরীর থেকে প্রবল দুর্গন্ধ বের হতে থাকে।

অতঃপর নোংরা আবর্জনা মাখা শরীর নিয়ে সে মেয়েটির সামনে এসে দাড়ালো এবং বলল এবার আমি প্রস্তুত । সেই  সম্ভান্ত  যুবতী ইমাম গাজ্জালীর চোখের নোংরা আবর্জনা দেখেই এবং দুর্গন্ধে অনেকটা বেহাল হয় পরলেন। তখনি মেয়ে টি  বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল ইমাম গাজ্জালী কে।

ইমাম গাজ্জালী মহা খুশি হয়ে গেলেন এবং রব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করলে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় জানালা দিয়ে নারীর উচ্চস্বরে ইমাম গাজ্জালিকে প্রশ্ন করলেন, হে প্রিয়তম আপনি এমনটি কেন করলেন।

একথা শুনে নারীর চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে

তখন ইমাম গাজ্জালী বললেন, দুনিয়াতে জিনার পাপ মাথায় বহন করে জাহান্নামে বসে পচা দুর্গন্ধযুক্ত খাবার চেয়ে দুনিয়ার এই নোংরা পানি অনেক শ্রেষ্ঠ । একথা শুনে নারীর চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। ইমাম গাজ্জালী খুশিমনে সেদিন তার ওস্তাদের কাছে ক্লাসে উপস্থিত হল।

ক্লাস চলাকালীন সময়ে হঠাৎ হুজুর জিজ্ঞেস করলেন তোমাদের মাঝে কি এমন অপরূপ সুন্দর সুগন্ধি মেখে এসেছে যে পুরো ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। আমি এর আগে কখনো এমন সুগন্ধ দেখে এটি নিশ্চিত কোনো স্বাভাবিক সুগন্ধি নয়।

আমি বেশ কম  সুগন্ধি গায়ে মেখেছে এই সুগন্ধি মোমবাতি ছিল প্রবল এবং আরো পবিত্র ওস্তাদজি একজন একজন করে সকল ছাত্রের নিকট গেলেন এবং গন্ধ তার উৎস খোঁজার চেষ্টা করলে অতঃপর ইমাম গাজ্জালীর কাছে গিয়ে বললেন কি ব্যাপার বাবা সুগন্ধটা তো এখান থেকেই আসছে ।

তুমি এতক্ষণ পর্যন্ত পেছনে চুপচাপ করে বসে আছো কেন । এদিকে এসো আমার কাছে এসো ইমাম গাজ্জালী ভয়ে ভয়ে হুজুরের কাছে গেলো আসতে আসতেই সে মনে মনে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে যে আজকে তাকে সকলের সামনে অপমানিত হতে হবে।

এত সুন্দর সুগন্ধি মেখে এসেও স্বীকার করছ না

কারণ সে বাড়ি থেকে এত তাড়াতাড়ি বের হয়েছে যে শরীরটা খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। ময়লা আবর্জনা থেকে হুজুর ইমাম গাজ্জালিকে অবাক করে দিয়ে বললেন তুমি এত সুন্দর সুগন্ধি মেখে এসেও স্বীকার করছ না কেন ।

সত্যি করে বলতো এই সুগন্ধি তুমি কোথায় পেয়েছো। এই কথা শুনে ইমাম গাজ্জালী ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করলেন । কাঁপতে কাঁপতে ইমাম গাজ্জালী সেই সুন্দরী যুবতীর সাথে ঘটা সকালের পুরো ঘটনাটা খুলে বললেন। সবকিছু শোনার পর হুজুর ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরি অঝোরে কাঁদতে শুরু করলেন।

ordo

তারপর মাদ্রাসার সকল ছাত্র কে ডেকে এনে বললেন। তোমরা যদি কেউ জান্নাতে সাথী দেখতে চাও তবে, আমার এই যুবক বুকে রাখো আল্লাহর ভয় এবং তাকওয়ার পরীক্ষায় সে এই বয়স উত্তীর্ণ হয়েছে। যে বয়সের যুবকরা পাপের সাগরে হাবুডুবু খায় । সেই বয়সে রব্বুল আলামীন পাপ থেকে দূরে থাকার জন্য তার গায়ের জান্নাতের সুগন্ধ ঢেলে দিয়েছে। সুবহানাল্লাহ।

হুজুর ইমাম গাজ্জালিকে জড়িয়ে ধরে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বললেন । হে আল্লাহ আপনি আমার এই ছাত্রকে এ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করুন । আল্লাহ তা’আলার সাথে সাথে হুজুরের দোয়া কবুল করলেন।

ইমাম গাজ্জালীর মত চরিত্রের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তৌফিক দান করেন

এবং পরবর্তী ইতিহাস তো আমরা সবাই জানি। ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি কিভাবে পুরো পৃথিবীতে তার বিচারধারা আলোকিত করেছেন ।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদেরকে ইমাম গাজ্জালীর মত চরিত্রের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তৌফিক দান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *