আমরা খাবারের ৫০ টি সুন্নত ও আদব সম্পর্কে জানাবো

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ সুপ্রিয় আলোর পথের যাত্রী বৃন্দ আশা করি আল্লাহ তা আলার অশেষ রহমত উদয় আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজকে আমরা খাবারের ৫০ টি সুন্নত ও আদব সম্পর্কে জানব, আল্লাহ পাক বলেন গর্বই শিপু ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল মুসলিম অর্থাৎ ওপেন করো এবং অপব্যয় করো না নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।

আসুন খাবারের আদব গুলো ধারাবাহিকভাবে চিনিনি খাবার গ্রহণের আগে ও পরে দুই হাত গুজে পর্যন্ত ধোয়া সোমনাথ যদি কেউ খাবার খাওয়ার জন্য মুখমন্ডল ধৌত না করে তাহলে এটা বলা যাবে না যে সুনাম অর্জন করেছে কেননা হাদীস শরীফের দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধর কথাই বলা হয়েছে তবে এর সাথে মুখমণ্ডল ধুয়ে নেওয়া উত্তম খাবার খাওয়ার পূর্বে হাত ধৌত করে মুছে।

আমরা খাবারের ৫০ টি সুন্নত ও আদব সম্পর্কে জানাবো

তবে খাবারের শেষে যখন হাত ধৌত করবে তখন মুছে ফেলতে পারবে তিন নম্বর হচ্ছে খানা খাওয়ার সময় বাম পা বিছিয়ে দিবে এবং ডান পা রাখবে অথবা দুই হাটু খারা কিংবা দুই হাটু ফেলে দুই পায়ের উপর বসবে এই তিনটা থেকে যেকোন এক নিয়মে বাসা সুন্নাত খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহি ওয়ালা বারকাতুল্লাহ বলবে অথবা বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম বলবে।

আমরা খাবারের ৫০ টি সুন্নত ও আদব সম্পর্কে জানাবো

বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে পাঠ করবে যাতে অন্য দিন মনে পড়ে যায় বানার পূর্বে যে দোয়াটি পাঠ করলে খাদ্যের যদি থাকে সে বিষয়ে কাজ করবেনা সুবহানাল্লাহ দোয়াটি হলো বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে যদি খাবার মাঝখানে মনে পড়ে তখন বলবে বিসমিল্লাহি আল্লাহু তরকারির বাটি রুটি বা হাতের উপর রাখা।

দস্তরখানা বিছিয়ে খাওয়া সুন্নাত

অর্থাৎ এক খাবারের উপরে আরো খাবারের বাটি স্থাপন না করা হাত চামচ ও জুড়ীতে খাবার লেগে গেলে খাবার মুছা যাবে না বিছানায় দস্তরখানা বিছিয়ে খাওয়া সুন্নাত হেলান দিয়ে খালি মাথায় হাতের উপর ভর দিয়ে জুতা পায়ে ও শুয়ে শুয়ে খানা খাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ রুটি অথবা দস্তরখানায় উপস্থিত হলে দরকার এর জন্য বসে না থেকে বরং অল্পস্বল্প খাবার শুরু করা।

এটি সুন্নাত খাবারের শুরুতে এবং শেষে লবণ খাওয়া সুন্নত বর্তমান বিজ্ঞান বলছে এই সুন্নতের আমল এর মধ্যে রয়েছে ৭০ রোগের শিফা সুবাহানাল্লাহ একহাতে রুটিন আছে না কেন মাইটি অহংকার এর পদ্ধতি বরং কিঞ্চিৎ বাম হাতের ব্যবহার করা উচিত বাম হাতে রুটি ডান হাতে ছাড়া উচিত না ডান হাতে খাওয়াও পান করা বাম হাতে পানাহার না করার কারণ এটি শয়তানের তরিকা তিন আঙ্গুলে রুটি অর্থাৎ মধ্যমা বৃদ্ধা শাহাদাত আঙ্গুলের রুটি খাওয়া কেননা সকল নবীদের সুন্নাত ও ছাড়া চার পাঁচ আঙ্গুলে না খাওয়া রুটির টুকরো।

অষ্টাংশ শস্যদানা ইত্যাদি পড়ে গেলে সেটা তুলে নিয়ে পরিষ্কার করে খাওয়ান এতে গুনাহ মাফের সুসংবাদ রয়েছে ইমাম গাজ্জালীর রহিমাহুল্লাহ বলেন রুটির টুকরো গুলো তুলে নাও হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে যে যারা এরকম করবে তাদের জীবন যাপনে আল্লাহপাক প্রশস্ততা দান করবেন সুবাহান আল্লাহ তাদের বাচ্চাগুলোর সুস্থ নিরাপদ ও ত্রুটিমুক্ত থাকবে।

এবং ওই রুটির টুকরো গুলো জান্নাতি হুর গনের মহাসড়ক কিমিয়ায়ে সাআদাত গ্রন্থে তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেন পড়ে যাওয়ার তুলে নিয়ে চুমু খাওয়া জায়েজ দস্তরখানায় যা কিছু থাকে মুরগি বিড়াল কুকুর কে খাওয়ানো জায়েজ ডাস্টবিনে ফেলা যাবে না খাবারের দোষ বলা যাবেনা বদনাম করা যাবে না ।

যেমন অনেক লবণ হয়েছে পাইনসা ইত্যাদি ইচ্ছে হলে খাবেন না হলে খাবেন না কিন্তু এর বদনাম করা যাবে না বর্তমানের মাঝখান থেকে খাবার শুরু করবে না নিজের বাস থেকে খাবার খাবে চারদিকে হাত মারবে না তবে খালার মধ্যে বিভিন্ন রকমের খাবার থাকলে তা নিতে অসুবিধা নেই।

খাবারের সময় কথা বলা জায়েজ নেই

যাবে যদি আল্লাহ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবারের পর আংগুল অগ্রেডস চেটে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এ সময় তিনি আরো বলেছেন খাদ্যের কোন অংশে বরকত নিহিত আছে তা তোমরা কেউ জানো না তাই পুরো প্লেটে খাওয়া সহিমুসলিম মেশকাত শরীফের ৩৬৩ নং হাদিস বেশি গরম খাবার না খাওয়া খাদ্যের মধ্যে না দেয়া এবং খাবার পুরোপুরি শেষ করি না চাওয়া।

অর্থাৎ বিডি কিছু খাবার থাকা অবস্থায় খাবার চাওয়ায় টিউশন বেদবিরোধী খাবারের সময় ভালো ভালো কথা বলা যায় জেনে বুঝে খাদ্য গ্রহণ করা উত্তম চুপ থাকা অগ্নি পূজারীদের পথচলা আমরা বলি খাবারের সময় কথা বলা জায়েজ নেই কিন্তু আবার বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেন।

যেমন খাবার খাওয়া আর কোরআন পড়া ১৯ জুবিল্লা বরং খাবারের সময় উত্তম কথা বলা জায়েজ তবে খানা খাওয়ার সময় এমন কথা বলা অনুচিত যার দ্বারা মানুষের মনে খাবারের প্রতি ঘৃণা জাগে যেমন কোন রোগ শোক আমাশয় ভূমি ইত্যাদি খানা শেষ ভালো করে।

চেটে খাওয়া চারটার সময় আংগুল জোসনা করা অন্যথায় শয়তান আঙ্গুল চুষে দেবে প্রথম মধ্যমা আঙ্গুল এরপরে বৃদ্ধাঙ্গুল ও অন্যান্য আংগুল এবং বর্তমানে হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে খাবার শেষে যে ব্যক্তির বর্তমান বাবলির চেটে খাবে তাহলে সেই প্লেট ওই ব্যক্তির জন্য দোয়া করবে এবং বলে হে আল্লাহ উনাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিন যেভাবে সে আমাকে শয়তান থেকে স্বাধীন রেখেছে।

খাবারের পর দাঁত খিলাল করা সুন্নাত খাবার শেষে এই দোয়া পড়া আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আতা মানাবাসা ফানা ওয়াজ আ’লনী মিনাল মুসলিমিন খাওয়ালে দোয়া পড়া আল্লাহুম্মা ফিমান আপনি আইসক্রিম ম্যান সানি দুধ পান করার পরেই দোয়া পাঠ করবে আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি যে থা’লাবা পাত্রের মধ্যে খানা খাওয়া হয় যদিও হাকের ধৌত করে পান করা হয় তবে একটা গোলাম আজাদ করার সওয়াব হয় ছোট ছোট লোক ধরবে এবং ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে তবে চিবিয়ে খাওয়ার।

চপ্পল চপ্পল আওয়াজ বা শব্দ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে

চপ্পল চপ্পল আওয়াজ বা শব্দ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে এক লোকমা খাবার শেষে আরেক লোকমা গ্রহণ করবে তাড়াতাড়ি করে লোকমা নিবেনা মাটির তলে খাওয়া উত্তম হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে যে ব্যক্তি তার ঘরের মধ্যে মাটির বাসন প্রস্তুত রাখে সেই ঘর জিয়ারতের জন্য ফেরেশতারা আসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মিষ্টি মধু শশা খেজুর তরমুজ লাউ বেশি পছন্দ করতেন।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম পূর্বঘাট এবং কুকুরের গোশত বেশি পছন্দ করতেন রাসুল সালাম কখনো কখনো তরমুজ শসা ও খেজুর খেজুর শশা লবণ দিয়ে খাবো কিন্তু সুন্নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের খুবই পছন্দ ছিল তরকারির ঝোল এর মধ্যে ভেজানো রুটির টুকরো রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর নিকট পছন্দের খাবার ছিল খাওয়া শয়তানের কাজ দুই আঙ্গুলে খাওয়া অহংকারীদের স্বভাব এবং তিন আঙ্গুলে খাওয়া সকল পয়গম্বর আলাইহিস সালামের সুন্নাহকে তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম একবার এক ভাগ পানি এক ভাগ সংস্পর্শে।

kh

খালি রাখা উত্তম করে পেট ভরে খেলেও গুনগুনানি দুপুরে খাবারের পর কিছু সময় কায়লুলা করবে অর্থাৎ কিছু সময় শুয়ে থাকবে আর রাতের খাবারের পর কমপক্ষে ১০০ কদম হাটা চলা করবে পানাহার করে অবশ্যই আলহামদুলিল্লাহ বলবে খাবারের পর মিসওয়াক করা দুটি অল্পবয়স্ক গোলাম আজাদ এর চেয়েও বেশি সওয়াব সুবহানাল্লাহ বর্তমান বিজ্ঞান বলছে খাবারের পর যারা দাঁত ব্রাশ করে থাকেন তাদের দাতে কখনোই রোগ আক্রমণ করতে পারে না কেননা জীবাণুর আক্রমণ করে।

ভালোভাবে হাত ধুয়ে মুছে ফেলবে

খাবারের পর থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম চৌদ্দশ বছর আগেই এই মেসওয়াক করার পদ্ধতিকে দুটি গোলাম আজাদ এর সমতুল্য সব বলে উল্লেখ করেছেন খাবারের পর ভালোভাবে হাত ধুয়ে মুছে ফেলবে কাগজ দ্বারা হাতমোজা নিষেধ। আমরা একটি বিষয় খেয়াল রাখব যখন আমরা হোটেলে খেতে যায় তখন খাওয়া শেষে হাত মোছার জন্য কাগজ দেওয়া হয় তখন আমরা তাদের কাছে কিছু চেয়ে নিব কাগজটি হাতমোজা নিষিদ্ধ মনে রাখবেন টিস্যু কাগজ এর অন্তর্ভুক্ত নয় তারা বুঝবে পরিধেয় পোষাক তারা কখনো বুঝবেনা যদি ঘরে থাকেন সেক্ষেত্রে তারা।

হবে কেননা এতে স্মরণ শক্তি দুর্বল হয় যদি আপনি আপনার শরীরে পরিধেয় বস্ত্রের অংশবিশেষ দিয়ে হাত পা মুখ মুছে নেন খাওয়ার পরে আপনার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে সুন্নতি আমল গুলো করার তৌফিক দান করুক আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *