আল্লাহকে যেভাবে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন নমরুদ

আসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় দর্শক নমরুদ আকাশে উঠে আল্লাহকে যেভাবে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের সাইট এ আপনাকে আবারও স্বাগতম।

আল্লাহকে যেভাবে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন নমরুদ

এখানে প্রত্যেক নবী-রাসূলগনকে তাওহীদের বাণী প্রচার করতে গিয়ে কঠিন সব পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে লাঞ্চিত এবং নির্যাতিত হতে হয়েছে। খোদাদ্রোহী না প্রমাণ দেখাতে প্রতিটি নবী রাসুলের যুগে এমন জালিমদের বাস ছিল। এ রকমই একজন অহংকারী খোদাদ্রোহী বাঁচিয়েছিলেন নামরুপ।

যার অহংকার বেশি মাত্রায় উন্নীত হয়েছে দেশে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। সে ছিল পৃথিবীর চারজন বড় বড় শাসকের অন্যতম। নমরুদ প্রায় ৪০০ বছর রাজত্ব করেছে এবং সে নিজেকে খোদা দাবি করেছে।

নমরুদের স্ত্রী কে ছিলেন

হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম বললেন নামরুদ তুমি এক নিরাকার সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে পাঠ করো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।তোমমা আল্লাহকে আমার কোনো প্রয়োজন নেই। আমি নিজেই খোদার আমি অন্য খোদার বশ্যতা স্বীকার করতে পারি না। তবে আমি শীঘ্রই তোমার খোদার প্রাণ শেষ করে তার রাজত্বকে  কেড়ে নেব।

আল্লাহকে যেভাবে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন নমরুদ

হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম বললেন কাফির নামরুপ তুমি আল্লাহর নিকটে যাবে কিভাবে কেমন করে জবাবে বলল সেই জন্য তোমাকে চিন্তা করতে হবে না।একদিন নামরুদ স্বপ্নে দেখল যে অগ্নিকুণ্ড থেকে খোলা তরবারি হাতে নিয়ে এক লোক বেরিয়ে তার দিকে দ্রুত দৌড়ে আসতে লাগল। এই অবস্থা দেখে নম্বর তখন দৌড় দিলেন আর ঐ ব্যক্তি তখন একটা ডিম ছুড়ে মারল।

তার দিকে এবং ডিম মাটিতে পড়ে ভাঙ্গা মাত্র বিশাল এক নদীতে পরিণত হতো সেখানে তার সকল সৈন্য-সামন্ত ডুবে গেল এবং তিনিও তার তিনজন সঙ্গীর জীবিত ছিলেন আবার দেখলেন ওই নদী পুনরায় পরিণত হয়েছে এবং পরে তা থেকে ১৫ আউর এয়েস একটু ক্রেতার দুই চোখ তুলে ফেলত গণ কিনা এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে ভবিষ্যৎবাণী করল যে হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর হাতে নম্বর পর্ব

নমরুদের স্ত্রী কে ছিলেন

এই কথা শুনে হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে সেসময় হত্যার জন্য লোক পাঠালেন কিন্তু তারা হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে পেলেন না এতে নমরুদ রেগে গিয়ে খোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং স্বর্গে যাবার জন্য একটি বিশাল টাওয়ার বানাতে বলেন। তার লোকদেরকে সেটি দ্বারা নির্মাণ করে কিন্তু সেটি কোন কাজে আসলো না হঠাৎ একদিন সে টাওয়ার বিশাল শব্দ করে ভেঙে পড়ল।

এ টাওয়ার ধ্বংসের নমরুদের নিজের সন্তান সহ অনেক মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটে তবুও নমরুদের সর্বজয়া আকাঙ্ক্ষা কখনো থেমে যায়নি এই সময় তার পরিষদের একজন তাকে অদ্ভুত এক পরামর্শ দিল তার পরামর্শে চারটি বৃহৎ শকুন পালন করা হলো। অতঃপর যখন চারদিকে কয়েকদিন অভুক্ত রেখে সিন্দুকের চারকোণায় বেঁধে নিয়েছি সীমানায় ঝুলিয়ে দেয়া হলো।

মাংসের টুকরা নমরুদ ও তার সেনাপতি প্রস্তুত হয়ে সিন্দুকে আরোহন করে ঊর্ধ্বপানে ভরে চলল ঊর্ধ্ব আকাশে যখন পৌছালো অর্থাৎ যেখান থেকে আকাশ বা পৃথিবীর কিছুই দেখা যায় না এরপর এই নম্বরটি নিক্ষেপ করার প্রস্তুতি নিল তারাবির উপরের দিকে নিক্ষেপ করল এই সময় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত জিব্রাইল আলাই সাল্লাম কে বললেন তা যেন নিরাশ না হয়।

নমরুদের জীবন কাহিনী

আমি আমার পরম শত্রু কেউ নিরাশ করিনা তুমি নমরুদের মনের আশা পূর্ণ করে তার নিত্যদিনের কয়েকটি কে ধরে একটি মাছের রক্ত দ্বারা রঞ্জিত করে দাও যাতে তার মনে এরূপ ধারণা হয় যে সে আসমান বাসি খোদাকে নিহত করেছে তাকে হত্যা করেছে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কথা শুনে হযরত জিব্রাইল আলাই সাল্লাম তীরের মাথায় রক্ত লাগে তা আবার ফেরত পাঠাল জাতের নম্বর বুঝতে পারে।

যে তিনি হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম এর খোদাকে হত্যা করতে পেরেছে তীর নিক্ষেপ শেষ হলে নমরুদ পৃথিবীর বুকে ফিরে আসে মাটিতে অবতরণের পর নমরুদের নিদর্শনগুলো কোরিয়ান যেগুলো পাওয়া গেল তার সবগুলোই ছিল রক্তে রঞ্জিত নমরুদ রক্তমাখা তীর গুলো দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল এবং বলে উঠলো নিশ্চয়ই আমরা হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর খোদা

স্বর্গের সহবাসে তাদেরকে হত্যা করতে সমর্থ হয়েছি এবং তার সাক্ষ্য বহন করেছে তিনি লেগে থাকা এই রক্তই প্রথম এসে গেল হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম এর কাছে তাকে রক্তমাখা তিল গুলো দেখিয়ে সৌরভে বলতে লাগল দেখলেতো ইব্রাহিম তোমার ক্ষুধার বড়াই এবার শেষ করে দিলাম আমার নিক্ষিপ্ত ৩০ তোমার খোদাকে বিদ্ধ করে ফিরে এসেছে এই দেখো প্রত্যেকটিরই রক্তমাখা রয়েছে।

ফেরাউন নমরুদ ও কারুনের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে

হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম বললেন হে নির্বোধ কাফের আমার আল্লাহকে হত্যা করতে পারে এমন শক্তি কারো নেই তিনি অদৃশ্য এবং নিরাকার তাকে মানুষের আকারে কল্পনা করাও বোকামি লক্ষণ তার উপরে কারো কোন প্রকার শক্তি এবং ক্ষমতার সক্রিয় হতে পারেনা হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর এইসব কথার প্রতি মোটেই গুরুত্ব না দিয়ে সে বলল তোমার ক্ষুধা শূন্য সংখ্যা কত তা বলতে পারো কি তোমার খুদা কিন্তু আমি শেষ করেছি এখন তার সৈন্য-সামন্ত কেউ শেষ করতে চাই হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম নমরুদের কীর্তিকলাপ দেখে আল্লাহর দল

আল্লাহকে যেভাবে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন নমরুদ

দোয়া করলেন হে মাবুদ আপনি সকল কিছুই দেখছেন বাচ্চার নাম রোজ এভাবে স্পর্ধা সীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং অহংকার ধরাকে সরা জ্ঞান করেছে তার দর্প শেষ না করলে দুনিয়ার সাধারণ লোকজন তা দেখে ব্যাপকহারে বিভ্রান্ত হবে এবং তারা বিপথে চলে যাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের দোয়া মঞ্জুর করেন।

জিব্রাইল আলাই সাল্লাম হযরত ইব্রাহিম আলাই সালাম কে জানিয়ে গেলেন হে আল্লাহর নবী আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই অতি শীঘ্রই আল্লাহতালা পাপিষ্ঠা নমরুদকে চরম শাস্তি প্রদান করবেন সে ও তার বেইমান সৈন্য-সামন্ত সকলেই ধ্বংস হয়ে যাবে সুপ্রিয় দর্শক অংকারি নমরুদের ভয়ঙ্কর মৃত্যু কাহিনী জানতে চাইলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন  আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *