একদিকে নতুন স্ত্রী সারাক্ষণ গালমন্দ করে

আগের ঘরের স্ত্রী স্বামীর ঘরে তিন বাচ্চাকে ছেড়ে চলে গেলে স্বামী পড়ে বিপাকে। একদিকে নতুন স্ত্রী সারাক্ষণ গালমন্দ করে, বাচ্চাগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়। নিজের ঘরে সন্তান নেই, সেই ঈর্ষাতেই স্ত্রী বাচ্চাগুলোর ক্ষতি করতে পারে। আবার বাচ্চাগুলো আসলেই তার কিনা, নিশ্চিত নয় সে।

কারণ ওই মহিলার সাথে তার মাঝেমধ্যে দেখা হতো, এমন না যে সে সংসার করেছে তার সাথে। এদিকে ব্যবসায় মন্দা তো আছেই।১৯৭৮ এর এই জাপানী সাইকোলজিক্যাল ড্রামা অনায়াসে ল্যান্থিমস, বার্গম্যানের পারিবারিক বিকারতত্ব নিয়ে গ্রেট ফিল্মগুলোর কাতারে পড়বে। Criterion রিলিজ পেলেও প্রিন্টটা কোথাও পেলাম না। তাই প্রায় hidden gem ই মনে হচ্ছে।

এর জনপ্রিয়তার ব্যাপারে আইডিয়া কম

পুরাতন জাপানী সিনেমা বেশি দেখা হয়নি, তাই এর জনপ্রিয়তার ব্যাপারে আইডিয়া কম। তবে ইউটিউব, রটেন টোম্যাটোজ, লেটারবক্স কোথাও খুব একটা আলোচনা হয়নি দেখলাম।সিনেফাইলদের একজনের কাছ থেকে নাম আর ঘরানা শুনেই দেখতে বসে গেলাম।

নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজে শিশু নির্যাতন এর মতো স্পর্শকাতর দিকটাই ছবিটাকে সেসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু করে। সিনেমাটোগ্রাফার একটা সাক্ষাৎকারে দাবী করেন, ছবিটির পাবলিক স্ক্রিনিং এ ২য় স্ত্রীর ভূমিকা করা শিমি ইয়াশিতা যখন বাচ্চাদের উপহার দিতে কাছে গিয়েছিলেন, তাকে দেখে ওরা ভয়ে কাঁপছিল।

চরিত্র খাবার টেবিলে উন্মাদের মত আচরণ

প্রমাণ হয় যে রূপালি পর্দার ভয়াবহতা আসলেই শিশুমনে প্রভাব ফেলতে পারে।পরিচালক ইয়োশিতার নমুরা নির্যাতনের নামে টর্চার-পর্ন বা ভায়োলেন্সে পর্যবসিত হন নি, কিছু মেলো-ড্রামা থাকলেও মনস্তাত্ত্বিক দন্দ্বই মুভিটাকে এঙ্গেইজিং করে তুলেছে। ট্যাগলাইনে “THEY’D BE BETTER OFF WITH STRANGERS” থেকেই ধারণা করতে পারেন,

কতটা ডিস্টার্বিং একটা জীবন দেখানো হয়েছে বাচ্চাগুলোর। বাবার চরিত্রে কেন ওগাতা সেসময় সেরা অভিনেতার পুরষ্কারও জিতেছিলেন। সাইকোলজিক্যাল ও ডিস্টার্বিং ড্রামা দেখতে চাইলে The Demon (1978) দেখুন। সেসময় জাপানেও কী দারুণ সব মুভি হতো, আইডিয়া পাবেন।

রটেন টোম্যাটোজেঃ ৯৬% ইতিবাচকলেটারবক্সঃ ৩.৭/৫ আমার গ্রেডিংঃ আমার মতে ‘জাঙ্গাল ক্রুজ’ হচ্ছে বেশ কিছু কাল্ট ক্লাসিক এ্যাডভেঞ্চার মুভির ম্যাশআপ। ডঃ লিলি (এমিলি ব্লান্ট) এর মধ্যে আমি রীতিমতো দেখতে পেয়েছি ‘Indiana Jones’ এর ডঃ জোনস কে।

ফ্র‍্যাংক (ড্যুয়েন জনসন) এর বোট রাইড মনে করিয়ে দিয়েছে ‘Jurassic Park’ এর থিম পার্ক রাইডের কথা। লিলি, লিলির ভাই আর ফ্রাংককে একসাথে দেখে আপনার কাদের কথা মনে পরে? আমি হুবহু মিল পাই ‘The Mummy’ ছবির নায়ক, নায়িকা আর নায়িকার ভাইয়ের অর্থাৎ রিচার্ড-ইভলিন-জোনাথান এর। ফ্রাংক আর তার পোশা জ্যাগুয়ার প্রক্সিমা = ‘The Jungle Book’ এর মোগলি-বাঘিরা।

আরেকদিকে আনডেড স্প্যানিশ দস্যু যারা

কাহিনীতে সবার ছোটাছুটির মূখ্য উদ্দেশ্য ছিলো ‘ট্রি অব লাইফ’। এখন মনে করেন ‘Pirates of The Caribbean’ এর চতুর্থ কিস্তি ‘On Stranger Tides’ এর কাহিনী। আমি ‘ফাউন্টেইন অব ইউথ’ এর কথা বলছি। বাকি রইলো শত্রুপক্ষ। একদিকে একদল জার্মান, যারা মনে করিয়ে দেয় ‘Indiana Jones’ এর নাৎজিদের কথা। আরেকদিকে আনডেড স্প্যানিশ দস্যু যারা ‘Pirates of The Caribbean’ এর ফ্লায়িং ডাচম্যানের নাবিক ডেভি জোনস আর তার ক্রু মেম্বারদের সাদৃশ্য। দেখতেও প্রায় একই টাইপের, এদের উপর থাকা অভিশাপও একইরকম।

ডেভি জোনস আর তার ক্রু সমুদ্রের পানির বাইরে যেতে পারে না, এই সিনেমার স্প্যানিশ দস্যুরাও নদীর নজরের বাইরে যেতে পারে না। এইসব মিলগুলো অনায়াসে যে কারোর চোখেই ধরা দিবে। এখন এগুলো ইচ্ছাকৃত না কাকতালীয় তা জানি না। আমি যেমনটা আশা করেছিলাম ঠিক তেমনটা পাইনি।

২০২১ সালে এসে গতানুগতিকের বাইরে কিছু আশা করা আমার মনে হয় একেবারে যুক্তিহীন নয়। কিন্তু ‘জাঙ্গাল ক্রুজ’ আসলে নতুনত্বের তেমন কিছুই দেখাতে পারেনি। আবার হতাশও কিন্তু করেনি। বরং দেখার সময় বেশ উপভোগ করেছি। থিয়েটারে দেখতে পারলে আরও বেশ লাগতো।

কেননা এই টাইপের সিনেমা পুরোপুরিভাবে এনজয় করার জন্য  অত্যাবশ্যক।এ্যাডভেঞ্চার আমার মনে হয় কম-বেশি প্রায় সবারই পছন্দ। আর কপি হোক বা রিমেক হোক, কারোর কাছে ছবিটি খারাপ লাগার কথা না৷ পর্দায় জনসন-ব্লান্টের রসায়ন বেশ লেগেছে। সিজিআই দুই এক জায়গায় একটু দূর্বল হলেও ওভারঅল ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস বেশ ভালই।

সেইসাথে বিজিএমও দারুণ। শুরুতে, মানে ওপেনিং সিন এ সুন্দর একটা ভাল লাগা কাজ করছিলো যখন দেখি সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে কম্পোজ করা হয়েছে মেটালিকার ‘নাথিং এলস মেটারস’। অদ্ভুত ভাল লাগে আমার গিটার প্লাকিংটা।মা বলতে মায়ের ভালোবাসা আদর মমতা কত রুপ প্রকাশ পায়। মায়ের এই ভালোবাসা সম্মানীয় আবার ভীতিজনক বটে

মুভিতে মায়ের এই ভালোবাসা ই প্রধানত

বং জুন হো,তার এই মুভিতে মায়ের এই ভালোবাসা ই প্রধানত একটা mysterious thrilling way তে প্রকাশ করেছে। জুন হো এর মুভি সাধারণত melancholy humor and sweetnes দিয়ে ভরা থাকে Mother অনেক বেশি dark story. কোরিয়ান কালচার এর অনেক বিষয় ই জুন হো এর মুভিতে থাকে।

টুকরো – টুকরো ইট যেমন তেমন জড়ো করে বাড়ি তোলা যায়না। তুলতে গেলে ইটগুলো সাজানোর একটা পদ্ধতি আছে ঠিক তেমনি ঘটনার মালা গেঁথে বা অর্থপূর্ণ অ্যাকশন জুড়ে সিনেমাকে রসগ্রাহী করা সম্ভব নয়। পুডোভকিন বলেছেন “A flim is not shot, it is built” সিনেমায় আর্টের গোড়ার কথাই এটা আর জুন হো এক্ষেত্রে সফল আমি মনে করি। সাউথ কোরিয়ান অভিনেত্রী Kim Hye-ja হচ্ছে Mother এবং Won Bin হচ্ছে চরিত্রের Yoon Do-joon.যে কিনা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী।

রিভিউ পড়ার সময় জানতে পারলাম

এবং এই ছেলেটিকেই এলাকায় একটা টিনেজার মৃত্যুর আসামী হিসেবে বন্দী করা হয়। আর তার মা এই খুনের রহস্য ভেদ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। এই চেষ্টা থেকেই ছবির মজাদার প্লট শুরু হয় এই রহস্যের ভাজ না খোলা পর্যন্ত সিনেমা শেষ করার সাহস কারো হবেনা এটা নি:সন্দেহে বলা চলে।

সিনেমাটিতে মা কে একজন নিছক মহিলা অসহায় চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়নি বরং একজন মা ঠিক কতটা দূর তার যত্ন ভালোবাসা বয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই সীমারেখাকেও খানিকটা দৃশ্যায়ন করা হয়েছে। In the first half of film, the director is telling the story through the mother’s eyes. এবং এটাই সিনেমাটিকে রহস্যের জালে আবদ্ধ করে।

সিনেমাটি খুবই satirical আবার একই সাথে murder mystery; জুন হো অত্যন্ত চালাকির সাথে সমাজের একটা অর্থলোভী মনোভাব এবং বিচ্ছিন্নতার বাস্তবায়ন ঘটায় সিনেমায়। কারণYou cannot change one part of society without affecting the otherসিনেমাটি শ্রেষ্ঠ উদাহরণ বলা যেতে পারে society এর self-psychoanalysis ফুটিয়ে তোলার জন্য,

যেখানে মানুষ চেষ্টা করছে cope with the changes and the traumas of the modern world when old structures of patriarchy and clear societal roles are failing. সিনেমাটির পুরো গঠনে এক ধরনের শৈল্পিক বিষাদ পাওয়া যায় যা কিনা personal biasesএর মত। In a way, we are all like “Mother”ছবিটির ending এতই heartbreaking এত বেশি ironical যে তখন মনে হয় director এর ক্ষমতা কি অসাধারণ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *