এমন উপভোগ্য হরর মুভিই খুঁজছিলাম। প্রত্যাশার চাইতে বেশি ভালো লাগছে। একই নামের ভিডিও গেম থেকে মুভিটি অ্যাডাপ্ট করা হয়েছে। যেহেতু গেম সম্পর্কে কিছু জানিনা তাই বলতে পারছিনা অ্যাডাপ্টেশন কেমন হয়েছে। তবে রোমান্স, মিস্ট্রি এবং থ্রিলারের সংমিশ্রণে ভিন্নধর্মী গল্পের ডিটেনশন দেখার মত একটি হরর মুভি।
গল্পের থিমের কারনে মুভিটি চায়নাতে ব্যান করা হয়েছে। এতে মুভির কোন ক্ষতি হয়নি বরং বাজেটের তুলনায় তিনগুন বেশি আয় করেছে এবং ব্যবসা সফল হয়েছে।
স্টরিলাইন তিনটা টাইমলাইনে বিভক্ত। এই দিকটা বেশ উপভোগ করেছি। টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন না থাকলেও সুন্দর উপস্থাপনার জন্য ভালো লাগবে।
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং স্ক্রিনপ্লে ঠিকঠাক
সিনেমাটোগ্রাফি এবং অ্যাটমোস্ফিয়ার অসাধারণ ছিল। ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট দুর্দান্ত লেগেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং স্ক্রিনপ্লে ঠিকঠাক বলা যায়। মুখ্য চরিত্রগুলোর পারফরম্যান্স ও যথেষ্ট ভালো ছিল। উপস্থাপনা এমন যে স্ক্রিনে আপনার মনোযোগ এমনিতেই বজায় থাকবে। আর মুভির শেষটা খুব ভালো লেগেছে।
মুভির গল্পটা একটা হাই স্কুলের দুইজন শিক্ষক এবং তাদের কিছু স্টুডেন্টদের বুক ক্লাব নিয়ে। যেখানে তারা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ বইগুলো সংগ্রহ করত এবং পড়তো। ১৯৬২ সালে তাইওয়ানে সামরিক শাসন চলাকালীন সময়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ক্রিয়েট করবে কিংবা করতে পারে এমন সব বই কেনাবেচা থেকে শুরু করে ডিস্ট্রিবিউট করা, উৎসাহিত করা, পড়া ইত্যাদি কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
আর যদি কেউ এমনটা করে থাকে তাহলে তার জন্য বিভিন্ন ধরণের শাস্তি সহ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। l এর ঐ বুক ক্লাব এখন কি অবস্থায় আছে সেটা জানার জন্য মুভিটি দেখতে হবে।পছন্দের উক্তি -সোয়েটার (No Spoiler)সোয়েটার নামের পশ্চিমবংগের এই মুভিটি কে দেখেছে কে দেখেনি জানি না, তবে গতকাল রাতে হইচই তে আমি কিন্তু মুভিটা দেখে ফেলে পূন্যটা কামিয়ে ফেললাম। ছবিটা ২০১৯ সালের রিলিজ সম্ভবত। চোখের সামনে এমন একটা জিঞ্জার ড্রিংক্স কেন যে এতকাল চোখ এড়িয়ে থাকলো কে জানে!যাই হোক, খুবই সাধারণ একজন মেয়ের গল্প।
মনে হল গল্পটা এতই ইউনিক এবং সুস্বাদু যে মুখে লেগে থাকে। ছবিটা দেখে মনে হল এই ছবিটা অন্তত বাংগালী মেয়েদের অবশ্যই দেখা উচিত ঘরানার। পৃথিবী কই ছুটে চলে যাচ্ছে সেখানে মেয়েরা এখনও তাদের অধিকার অধিকার বলে চেঁচিয়ে যতটূক আদায় করে নিয়েছে সেটা পুরোটাই তাদের কৃতিত্ব।
পুরুষদের সমকক্ষ কিংবা পুরুষদের প্রতিপক্ষ ভেবে তারা জীবন যেরকম কাটাতে চায় সেই চিন্তাটা তো ভুল। একজন নারীর নিজের মত করে বাঁচার সাথে আদতে পুরুষের কোন যোগসূত্র যে নেই প্রছন্নভাবে মুভিটাতে এমন ইংগিতই করা হয়েছে। যেমন একজন পুরুষেরও নেই কারো মুখাপেক্ষী হয়ে জীবন চালিয়ে নেবার, কারো দায়িত্ব নিয়ে জীবন চালিয়ে নেবার।
পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সম্মানের
বিষয়টা আত্মমর্যাদার, স্বাধীনতার, পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সম্মানের। নারী পুরুষের মধ্যকার প্রেম ভালবাসার উর্ধ্বেও একটা বিরাট আকাশের মতন প্রত্যেকের ইন্ডিভিজুলার যে একটা জীবন আছে তা মনে পড়ে যাবে ছবিটা দেখলে। যেখানে একজন মানুষ স্বগৌরবে এই মুক্ত পৃথিবী, আকাশের তলে বেঁচে জীবনকে গৌরবময় করে তুলতে পারে। তা যে কেউই করতে পারে। প্রত্যেকটা প্রাণই তো স্পেশাল। প্রেম জীবনের একটা অংশ, পুরো জীবনতো নয়!যাই হোক আর কিছু বলবো না। পরিস্কার, সত্যিকার অর্থেই ভিন্নধর্মী, ইউনিক এই গল্পের সিনেমাটা হইচই তে পাওয়া যাবে।
- একদিকে নতুন স্ত্রী সারাক্ষণ গালমন্দ করে
- চরিত্র খাবার টেবিলে উন্মাদের মত আচরণ
- .জা লাইফস্টাইল একাউন্টে লগইন এবং রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম
যারা দেখেননি, ঠান্ডা মাথায় দেখে ফেলুন। আফটার দ্য টুইস্ট এন্ড টার্ন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ছবিটা নিশ্চুপে শেষ করবার পর আপনি মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি অনুভব করবেন। কিছু প্রশ্ন, কিছু উত্তর আপনি নিশ্চিতভাবেই পেয়ে যাবেন। গুডলাক।
১৯৪০ এর দশকের শুরুর দিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুধু মাত্র সমগ্র বিশ্বের যে মানচিত্র সেটাকেই যে বদলে দিয়েছিলা তা নয়, একইসাথে বিশ্ব সিনেমার মানচিত্রটি কেও কিন্তু ব্যাপক ভাবে বদলে দিয়েছিলো!!!আর তখন সিনেমার এক নতুন যুগের সূচনা হয় আর যেই সিনেমাটি দিয়ে। সেটা হলো ১৯৪৮ এর ইতালিয়ান সিনেমা সিনেমা নির্মাণ করতে হলে স্টুডিওর মধ্যে শুটিং করতে হবে নাহ।
ট্রেন্ড অভিনয় শিল্পীদের দিয়েই যে সিনেমায় অভিনয় করার তে হয়। তেমনটি একদমই নয়। নন-অ্যাক্টরদের দিয়েও অভিনয় করানো যায়।অভিনয় শিল্পীদের মেকাপ ছাড়া অভিনয় করানো। রিয়েল লোকেশনে শুট করা।”১৯৪৮ সালের এই ‘বাইসাইকেল থিবস’ সিনেমাটি এই বিষয়গুলো দেখে তার পরবর্তীতে কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে আব্বাস কিয়ারোস্তামি, আসগর ফরহাদি এবং অনুরাগ কাশ্যপ আমরা পছন্দের সব ফিল্মমেকারদের তাদের ফিল্ম মেইকিং এ ভিষণ ভাবে ইন্সপায়ার করেছিলো। তাদের একজন ফিল্মমেকার হওয়ার জন্যে।
উদাহরণস্বরুপ বলতে পারি এই সময়ে
উদাহরণস্বরুপ বলতে পারি এই সময়ে আমার মতো আরো অসংখ্য সিনেমা প্রেমীদের প্রিয় নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ তাঁর জীবনের কিন্তু একটা ব্যপক পরিবর্তন আনে এই Bicycle Thieves সিনেমাটি! অনুরাগ তখন দিল্লীর একটি কলেজে খুব সম্ভবত মাইক্রোবায়োলজি সাবজেক্টে আনার্স করছিলেন।
তখন তিনি সেখানকার একটা ফিল্ম ফেস্টিভাল সিনেমাটি দেখেন। পরবর্তীতে সিনেমাটি তার ভিতরে এমন ভাবে নাড়া দিয়ে ছিলো। যে তার দুমাস পরই তিনি দিল্লীর সবকিছু ছেড়ে মুম্বাই চলে আসেন ফিল্মমেকার হওয়ার জন্য। কেননা তিনি উপলব্ধি করতে পারেন যে অন্য কোন পেশায় নয় শুধু মাত্র ফিল্মমেইকিংই জীবনে তার সেই তৃপ্তি বা আনন্দ দিতে পারবে যা অন্য কোন পেশায় সেটা পাবেন নাহ।
তো বিশ্ব সিনেমায় Bicycle Thieves এর তাৎপর্য নিয়ে অনেক কথা হলো এখন যদি মূল সিনেমাটি নিয়ে ছোট্ট করে একটু বলি। তাহলে বলব…এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে ‘আন্তোনিও’ বলে একটা ক্যারেক্টার আছে। তিনি চাকরি পেয়েছেন এবং চাকরিটা করতে হলে তার একটা সাইকেল দরকার কারণ পোস্টার লাগাতে হবে শহরজুড়ে। তো তার স্ত্রী এবং তিনি মিলে কিছু টাকা ম্যানেজ করে। একটা সাইকেল কিনেন, কিন্তু একদিন তার সাইকেল টা চুরি হয়ে যায়। তারপর তার ছেলেকে দিয়ে বেড়িয়ে পর সাইকেলটি খোঁজার জন্য পুলিশ এর কাছেও যায়।
সাইকেল এর খোঁজ পায় নাহ আলটিমেটলি
কিন্তু কোন ভাবেই সেই সাইকেল এর খোঁজ পায় নাহ আলটিমেটলি একটা সময় সে নিজে একটা সাইকেল চুরি করে বসে প্রচন্ড হতাশা থেকে যে চাকরিট করতে হবে এবং দেশের এই খারাপ পরিস্থিতিতে পরিবারকে সাপোর্ট করতে হবে।কারণে সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইতালির অবস্থা ছিলো খুবই খারাপ।
কাজেই, স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় যে,এটা স্বভাবে চুরি ছিলো বা একটা ছিলো অভাবে চুরি। তো আলটিমেটলি সেই একটা চোরের খোঁজ করতে গিয়ে নিজেই একটা চোর হয়ে গেলো। My Personal Feeling সিনেমাটিতে বাবা-ছেলের সম্পর্কটা খুবই অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন মুভির পরিচালক ‘ভিটোরিও ডি সিকা’।
এবং একটু খেয়ার করলে বুঝতে পারবেন ১৯৪৮ এর সিনেমাটির সাথে এখন ২০২১ সালের বর্তমান দেশের পরিস্থিতির দারুণ ভাবে রিলেট করতে পারবেন। কেননা ২০২০ এর পর বিশ্বব্যাপী কোভিড১৯ মহামারীর কারণে অসংখ্য মানুষের চাকরি চলে গেছে। সবাই একটা সমস্যা এবং হতাশার মধ্যে আছে। প্রতিটা পরিবারে তাদের বেসিক খাবার, ঔষধের চাহিদা পূরনের জন্য সবাই প্রতিনিয়ত একটা সংগ্রামের মধ্যে আছে। এখান থেকেও আপনি সিনেমাটির সাথে কানেক্টেড করতে পারবেন এখনকার