গ্রামবাসীর কাছে এই শিশু যেন আল্লাহর রহমত

সিনেমার শুরুতেই যখন নবজাতক জালাল পাতিলে করে ভেসে আসে এক গ্রামে। গ্রামবাসীর কাছে এই শিশু যেন আল্লাহর রহমত। গ্রামের চেহারা পাল্টে দিতেই তার আগমন। কিন্তু জালাল আসলে কে? পুরো সিনেমা জুড়ে এই প্রশ্নের উত্তর চাইলে বিপদ রয়েছে। পরিচালক আবু শাহেদের এই জালাল যতটা না রক্তমাংসের মানুষ, তার চাইতে বেশি যেন এক আতশ কাচ।

সেই কাচের ভিতর দিয়ে নির্মাতা বাংলাকে দেখতে চান।মজার ব্যাপার হলো, জালালের গল্প নাম হলেও পুরো সিনেমায় জালাল যেন ধীরে ধীরে তার স্পটলাইট হারায়। শুরুতে কোলের শিশু হলেও শেষ পর্যন্ত সে এক পার্শ্ব চরিত্রই হয়ে যায়। কিন্তু তবু প্রতি ক্ষেত্রে তার থাকে অদৃশ্য এক উপস্থিতি। তার বাবা মায়ের পরিচয় নেই। নদীতেই তার জন্ম। ইটের ভাটায় তার পরিণতি। কী পরিহাস! নদী মাতার কাছে তার যাওয়ার উপায় নেই।

ছেলেটাকে ভাগ্য ভালোবাসার কোনো

জানালা দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে নরনারীর ভালোবাসা দেখা ছেলেটাকে ভাগ্য ভালোবাসার কোনো সুযোগও দেয়নি। হ্যাঁ, সিনেমার মাঝপথে গিয়ে অনেকটাই বোঝা যায় সমাপ্তিটা কী। কিন্তু তাতেই বা কী আসে যায়! গন্তব্যের চাইতে তো যাত্রাটা অনেকাংশেই বেশি উপভোগ্য। সে জন্য জালালের চোখ দিয়ে পরিচালক যখন বাংলার কুসংস্কার, সুসংস্কার, মানব সম্পর্ক, ভালোবাসা প্রভৃতি নীরিক্ষা করতে থাকেন, তাতে নিজেও যুক্ত না হয়ে থাকা যায় না।জালালের গল্প ভেতরের অদ্ভুত এক পিপাসা মিটিয়ে দেয়।

গ্রামবাসীর কাছে এই শিশু যেন আল্লাহর রহমত

বাংলাদেশি নিউ ওয়েভ সিনেমায় বাংলাকে দেখার এক আকূল পিপাসা, যেমনটি মিটিয়েছিল গুপীবাঘার “মাটির প্রজার দেশে”। জালালের গল্পে বরকত পলাশের ক্যামেরা বারবার ধারণ করে বয়ে যাওয়া নদী, হেঁটে চলা হাঁস, উড়ে যাওয়া পাখি। তিন অধ্যায়ের এই সিনেমা প্রতিবারই তার আশেপাশের পরিবেশকে ধারণ করে খুব শক্ত ভাবে।

ক্যান্টোনিজ সিনেমা ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন

চিরকুটের আবহ সংগীত বারবার বাংলার কথা মনে করিয়ে দেয়। কখনো তা মিনিমাল, কখনো তা মেলোড্রামাটিক। আর আবু শাহেদের নিজের হাতে এডিট করা সিনেমা নিকোলাস রোগের সিনেমার মত বারবার লাফ দেয় সময়ের আগে পিছে। মাঝেমধ্যে দর্শককে মাথা খাটাতে হয় বোঝার জন্য। শর্মি মালা আর মোশাররাফ করিম পার্শ্ব চরিত্রেও নজর কেড়ে যান।

জালালের চরিত্রে অভিনয়টা আরেকটু ভালো হলে বোধহয় মন্দ হতো না। কিন্তু বাকি সব দিয়ে নির্মাতা পুষিয়ে দেন সেই খামতি। আর তাই ”জালালের গল্প” শুধু জালাল নয়, মাটি, মানুষ, নদী আর বাংলার গল্প হয়ে জ্বলজ্বল করতে থাকে।Damage (1992)একজন বাবার সেক্সুয়াল অবসেশান আর তার প্রেমিকার পোড়া ইতিহাসের গল্প। ইরোটিজম থাকলেও যৌন দৃশ্যগুলোর ধারণ তাড়িত করে না, শুধু যৌন তাড়নাকে দেখায়।

অদম্য ও আগ্রাসী! ফরাসি পরিচালক তার শিল্পসমৃদ্ধ মনন থেকে যত্নের সাথে এই নিষিদ্ধ সম্পর্ককে দেখিয়েছেন। নিয়েছেন দুই A লিস্টারকে, যারা অভিনয়টা ভালোই জানেন। জেরেমি আয়রন্সকে এর আগে তরুণ মূল চরিত্রে দেখা হয় নি, ৪৪ বছর বয়সী আয়রনএর জায়গায় অন্য কেউ হলে অনেক বোকা বোকা ভাব চলে আসতে পারতো, আয়রন দিয়েছেন মেথডিক্যাল অ্যাক্টিং।আর বিনোশ তখন ২৮ বছর বয়সী ফরাসি তারকা, অল্প ফিল্ম দিয়েই আলো ছড়ানো শুরু করেছেন।

তিনি না হলে এই ঠান্ডা শীতল খানিকটা রহস্যময় চরিত্রটি বিশ্বাসযোগ্য হতো না। যৌনতা না দেখিয়েও নিবিড় আবেদন ছড়ানো কি যে কঠিন কাজ! বিনোশ আর আয়রন দুজনই এই গোপন খেলাটা খেলো না বানিয়ে সুন্দর খেলেছেন। আসন্ন damage জেনেও অবলীলায় পরস্পরের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। সাথে ২বারের অস্কার মনোনীত ডেভিড হেয়ার (the reader, denial, the hours) এর চিত্রনাট্যও মূল ফোকাস কখনো আয়রনের চরিত্র থেকে সরতে দেয় নি, তাই রমান্সের গল্প হয়েও কখনোই রোম্যান্টিক মুভি হয় নি, পরতে পরতে অনিবার্য ট্র্যাজেডি লেখা ছিল।

তারপরও স্টিফেন আর অ্যানার চরিত্র

ছেলের প্রেমিকার সাথে প্রেমে সাফল্যের সুযোগ আর কতখানি? ক্ষতি অপরিসীম। তারপরও স্টিফেন আর অ্যানার চরিত্র কন্সিস্টেন্ট ছিল। অ্যানার দিকটা দেখা না গেলেও বিনোশের নীরব বিষণ্ণ চাহনিতে শত বছরের সংগ্রামের ছবি আঁকা। খুব সহজ এমন কারো প্রতি আকৃষ্ট হওয়া, তবে এমন কারো আকর্ষণ হয়ে ওঠা? জানি না। ক্লাইম্যাক্সে একটা ট্র্যাজিক দৃশ্যের লেখনিটা বাদ দিলে আমার প্রায় সবই ভালো লেগেছে, তবু দিন শেষে এটা আরেকটা নিষিদ্ধ প্রেমের সিনেমার বাইরে কিছু না।

যেখানে কিছু ব্যাপার অজানা রয়েই যায়। কিছু চরিত্র গৌণ থেকে যায়।তবু লুই মালের পরিচালনা আর নিখুঁত অভিনয়ের জন্য এই ঘরানায় এটা আমার পছন্দের মুভি হয়ে থাকবে।ছু মুভি আছে যেগুলো শেষভাগে এসে এমন অপ্রত্যাশিতভাবে শেষ হয় যে দর্শক হতবুদ্ধ হয়ে যায়। এই ধরণের মুভিগুলো আমার বেশ ভাল লাগে।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান পরিচালক পরিচালিত ‘Searching’ মুভিটি যখন দেখতে বসি, তখনো ভাবিনি এমন একটা চমক থাকবে শেষদিকে এসে। মুভিটিতে দেখানো হয়, মারগট নামের মা-হারা এক কিশোরী হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায়। তার বাবা ডেভিড কিম তাকে খুঁজে পাবার জন্য শুধু পুলিশের দ্বারস্থ হয়েই ক্ষান্ত হননি, নিজেও যতভাবে পারেন চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।

মারগটের ফেলে যাওয়া ল্যাপটপ থেকে একে একে নানা অজানা তথ্য বের করতে থাকেন কিম। এক পর্যায়ে তার মনে হচ্ছিলো, বাবা হিসেবে তিনি কি ব্যর্থ? নাহলে নিজের আদরের মেয়ের এত কিছু কীভাবে তার অজানা থাকে! যা হোক, এক পর্যায়ে পুলিশ নিশ্চিত করে যে মারগট মারা গেছে এবং তাকে মেরে ফেলা ব্যক্তির জবানবন্দি প্রকাশিত হয়। মারগটের জন্য শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তাহলে মুভিটি দেখে আর মজা পাবেন

এরপরের ঘটনা সামান্যই। এটুকু আর বললাম না, তাহলে মুভিটি দেখে আর মজা পাবেন না।মুভিটি সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হবে, মুভিটির ক্যামেরার কাজ আমাকে মুগ্ধ করেছে। প্রযুক্তি দিয়ে কতভাবে কী করা যায় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে মুভিটি। eryone who has criminal record is always seen as a bad guy. চরম সত্য কথা। তার চাইতে ও ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে কোন কিছু না করেও সেটার তকমা যখন নিজের নামের সাথে জুড়ে যায়! বলছিলাম তাইওয়ানের মুভি The Scoundrels এর কথা।

মূলত The Hollywood Reporter এর পজিটিভ ফিডব্যাকের ভরসায় মুভিটি দেখতে বসেছিলাম এবং হতাশ হয়নি। বরং সময়টা ভালো কেটেছে। পুরোটা সময় উপভোগ করার মত মুভি।পরিচালকের প্রথম মুভি হিসেবে যাত্রাটা বেশ ভালো বলা যায়। অ্যাকশন জনরার মুভিতে কমেডির সংযোজন খুব একটা জমে উঠেনা। তবে ডিরেক্টর এখানে অ্যাকশন + কমেডির ব্লেন্ডিং ঠিকঠাক ভাবে উপস্থাপন করেছে। কোন কিছু অতিরিক্ত মনে হয়নি। সোজাসাপ্টা একটা গল্পকে দারুণ অ্যাটমোস্ফিয়ারের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।

প্যাট্রিশিয়া’র ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘাত

অ্যাকশন সিনগুলোও ছিল বেশ উপভাগ্য। আর কমেডি দৃশ্যগুলোর টাইমিং ছিল একদম পারফেক্ট। এছাড়া সিনেমাটোগ্রাফি, স্টরি, স্টরিটেলিং, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, মুখ্য চরিত্রগুলোর পারফরম্যান্স – বিশেষ করে অ্যান্টাগনিস্ট রোলের ক্যারেক্টার বিল্ড আপ, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, স্ক্রিনপ্লে ইত্যাদি ভালোই লেগেছে। আহামরি কোন টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন নেই। তারপরেও ভালো লেগেছে। কারন হল একটা সাদামাটা গল্পের সুন্দর উপস্থাপনা ছিল।নামকরা বাস্কেটবল প্লেয়ার। সে আবার রাগ কন্ট্রোল করতে পারে না।

এক ব্যক্তিকে মারধরের কারনে মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য Ray একটা ক্রাইম অর্গানাইজেশন এ জয়েন করে। তার কাজ হল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার ইন্সটল করা এবং পরবর্তীতে চুরি করা। এই কাজ করতে গিয়ে Ray সম্মুখীন হয় Ben নামের দুর্ধর্ষ এক ক্রিমিনালের। Ben এর ডিমান্ড হল একটা নতুন গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। অন্যথায় Ray কে যেতে দেওয়া হবে না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *