চাতুর্জের সাথে অনুমেয় ব্যাপারগুলো এড়িয়ে

এই তিন প্রকারের বন্ধুত্বের মধ্যে তৃতীয় প্রকারের বন্ধুত্বকে অ্যারিস্টটল সর্বোত্তম বন্ধুত্ব মনে করেছেন। কারন তার মতে এই ধরনের বন্ধুত্ব একমাত্র উন্নত চরিত্রের দুজন মানুষের মধ্যেই হতে পারে। কিন্তু মুভির পরিচালক আরও এক ধরণের ফ্রেন্ডশিপের কথা মুভিতে উল্লেখ করেছেন।

আর সেটা হল Friendship of History. ফ্রেন্ডশিপ অফ হিস্ট্রি বলতে ডিরেক্টর প্রকৃতপক্ষে কি বুঝাতে চেয়েছেন সেটা বুঝার জন্য আপনাদের এই মুভিটি দেখতে হবে। রিচার্ড, জোনাহ এবং শাশা – তারা তিনজন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রিচার্ড ঠিক করল তার জন্মদিনে তার বন্ধু জোনাহ এবং শাশা কে নিয়ে বোট ট্রিপে যাবে। জন্মদিনের দিন রিচার্ড জোনার বাসায় যায়। জোনাহ বাসার দরজা খুলতেই রিচার্ড তাকে মারতে শুরু করে।

রিচার্ড তখন বলে তারা দুইজন মিলে

ইতিমধ্যে শাশা রিচার্ডের জন্য বার্থডে গিফট নিয়ে জোনার বাসায় প্রবেশ করতেই দেখে এ কি অবস্থা! রিচার্ড তখন বলে তারা দুইজন মিলে তার কাছ থেকে কিছু একটা লুকোচ্ছে। শাশা এবং জোনা রিচার্ড কে একটা Spear Gun গিফট করে। পরে রিচার্ড তাদের দুই জনের কাছে ক্ষমা চেয়ে বোট ট্রিপের জন্য যাত্রা শুরু করে।

চাতুর্জের সাথে অনুমেয় ব্যাপারগুলো এড়িয়ে

বোট ট্রিপে যেতে না যেতেই রিচার্ড আবার তাদের দুজনকে সন্দেহ করে। এবার তো রিচার্ড তার সীমা অতিক্রম করার মতো। জোনার দিকেই Spear Gun লক্ষ্য করে তাকে বলে হয় এখনই স্বীকার করো না হয় আমি তোমাকে মেরে ফেলব! শাশা এবং জোনা কি আসলেই রিচার্ডের অগোচারে কিছু গোপন করেছে ?? নাকি তারা একে অপরের কাছ থেকে অনেক কিছুই গোপন করে রেখেছে??

কাহিনীতে অনেক মারপ্যাঁচ আছে। প্রতি মুহূর্তেই আপনাদেরকে অবাক করবে এই মুভির গল্প। আছে অনেক টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন। ডিরেক্টর অনেক সুন্দর করে গল্পটা ন্যারেট করেছে। মুভির মেকিং অডিয়েন্সের অ্যাটেনশন সিক করার জন্য যথেষ্ট! প্রত্যেকের অভিনয় ভালো লেগেছে। অল্প বাজেটে ভালো মুভি যে তৈরি করা যায় এই মুভিটা হচ্ছে তার বাস্তব উদাহরণ।

বোর হওয়ার কোন সুযোগ নেই। মুভির শেষটাও দারুণ লেগেছে। সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ্য এবং শিক্ষণীয় একটি মুভি।তরুণ Matvei একহাতে কলিংবেল টিপেই চলেছে। অন‍্য হাতে একটা হাতুড়ি; পিছনে লুকিয়ে রেখেছে। টেনশনে ওর হাত কাঁপছে; গলা শুকিয়ে আসছে।

গল্পটা বলা হয়েছে ডিফারেন্ট ডিফারেন্ট

প্রথম মিটিংয়েই গার্লফ্রেন্ডের বাবাকে খুন করতে এসেছে সে! রাশান ব্ল‍্যাক কমেডি Why Don’t You Just Die এর শুরুটা অনেকটা এরকম। এর রাশান নামের আক্ষরিক অনুবাদ করলে অবশ‍্য নামটি দাঁড়ায়: Papa, Die! নির্মাতা kirull Sokolov একাধারে এটি লিখেছেন ও এডিটিং করেছেন আর একে করে তুলেছেন অনেক বেশি ভিজ‍্যুয়াল।

এ মুভি ব্ল‍্যাক কমেডির প্লেটে আপনাকে সার্ভ করেছে ভায়োলেন্সে পরিপূর্ণ এক মুভি; যাতে নির্মাতা যোগ করেছেন অতি মাত্রায় রক্তাক্ত সব সিন। একেবারে রক্তের বন‍্যা বইয়ে দিয়েছেন তিনি। আর ঘটনাগুলো এত হঠাৎই ঘটে যে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটি আপনি ঠিক ঠাউর করবার চান্সই হয়তো পাবেন না। দেড় ঘন্টার এ মুভিতে আপনি সময় কোথা দিয়ে পালাবে বুঝবেনই না।

গল্পটা বলা হয়েছে ডিফারেন্ট ডিফারেন্ট এঙ্গেল থেকে। কখনও সময়ও আগে-পিছে গিয়ে আপনাকে বর্তমানে কি ঘটছে; কেন ঘটছে এ সম্পর্কে জানান দেবে। কিন্তু ওয়েল ব‍্যালেন্সড কাহিনী। স্টোরি টেলিংটা দারুণ লেগেছে। আস্তে আস্তে সত‍্য দর্শকের সামনে রিভিল করার ব‍্যাপার গুলো। এক্টিং সুন্দর ছিল। সাথে সাউন্ডট্র‍্যাকও ভালো লেগেছে।

অনেক বেশি রক্তাক্ত সিন দেখতে যাদের সমস‍্যা হয় তাদেরকে দেখতে মানা করছি। কারন আসলেই অতি মাত্রায় ব্লাড শাওয়ার দেখিয়েছে। মুভিটির একটা এনার্জেটিক ভাব ছিল, ফাস্ট পেসে গিয়েছে পুরোটা সময়। বোর হওয়ার সুযোগই নেই। ওভার অল ভালো লেগেছে।

অনেকদিন পর দারুণ একটা ব্ল্যাক কমেডি

অনেকদিন পর দারুণ একটা ব্ল্যাক কমেডি দেখলাম। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপভোগ করার মত মুভি। ব্ল্যাক কমেডি হিসেবে প্লট ঠিকঠাক। প্রেডিক্টেবল হলেও প্লটের এক্সিকিউশন ছিল মাইন্ড বগ্লিং। সবচাইতে উপভোগ্য দিক ছিল ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট। বিয়োন্ড টপ নচ বলতে পারেন। সিনেমাটোগ্রাফি খুবই ভাল লেগেছে। প্রত্যেক চরিত্রের অভিনয় ছিল দুর্দান্ত।

শকিং ভায়োলেন্সের সাথে কমেডির সংযোজনের দিকটা বেশ ইউনিক ছিল। এমনটা এর আগে অন্য কোন ব্ল্যাক কমেডি মুভিতে দেখেনি। মুভিতে অনেক রক্তারক্তির দৃশ্য রয়েছে। যারা ভায়োলেন্স দেখতে অভ্যস্থ নয় তারা এই মুভিটিকে এড়িয়ে যাওয়াটা শ্রেয় মনে করি।

কিছু দৃশ্য আছে যা আপনাদের হাসাতে বাধ্য করবে এবং তখনিই ডার্ক কমেডির আসল স্বাদটা পাবেন। হ্যান্ড-টু-হ্যান্ড ফাইট সিনগুলো বেশ চোখ ধাঁধানো ছিল। সাথে ক্যামেরার কাজও ছিল দুর্দান্ত। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং সাউন্ডট্র্যাক দারুন লেগেছে।

এছাড়া অ্যাটমোস্ফিয়ার, লাইটিং, সাউন্ড ইফেক্ট, স্ক্রিনপ্লে, স্টরিলাইনে ছোট ছোট টার্ন অ্যান্ড টুইষ্ট সবই নিঃসন্দেহে উপভোগ্য ছিল। সবমিলিয়ে পরিচালক ১ ঘন্টা ৩৮ মিনিটের এই মুভিতে কমেডি, ড্রামা, থ্রিলিং, ইমোশন, ভায়োলেন্স, টুইষ্ট – সবকিছুই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।

অলিয়া তার বাবা আন্দ্রেই কে খুন

অলিয়া তার বাবা আন্দ্রেই কে খুন করার জন্য তার বয়ফ্রেন্ড মাটভেই কে তার বাসায় আসতে বলে এবং মাটভেই অলিয়ার বাসায় পৌছানোর পর তার বাবার সাথে কনভারসেশনের এক পর্যায়ে কোন এক কারনে ব্যাগ ভর্তি টাকা দেখতে পায়। প্লটটা এমন যে এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবেনা। বাকিটা নিজেরা দেখে নিবেন।ইরটিক থ্রিলার বাইরে থেকে ট্র্যাশ মনে হলেও ভেতরে এর গিলটি প্লেজারের তুলনা নেই।

বিশেষ করে সেখানে যদি সাইকলজিক্যাল টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন্সের মহড়া থাকে। ফরাসি জনপ্রিয় আর্ট হাউজ নির্মাতা ফ্র্যান্সইজ ওজন তার জনরা-বৈচিত্র্যের ধারা বজায় রেখে ক্রোনেনবার্গের বডি-হরর, হিচককিয়ান প্যারানয়াভর্তি টেনশান আর ব্রায়ান ডি’পালমার ইরটিক ডিস্কোর সূত্রে জম্পেশ এক মিস্ট্রি-থ্রিলার বানিয়েছেন- ধবধবে চকচকে ব্যাকড্রপে সুন্দর নরনারীর শরীর ঝাঁকানি সমৃদ্ধ, সাইকোলজিক্যাল মাইন্ডবেন্ডিং ধাঁচে।

যার শুরুই হয় নারীর যোনির অভ্যন্তর থেকে তার জলচ্ছল চোখের ক্লোজআপে। জানান দিয়ে দেয় তার যৌন চাহিদা আর মনস্তত্ত্বের ডামাডোল থাকবে পুরো সিনেমায়। লেখনীতে যাচ্ছেতাই কিছু সিদ্ধান্ত, ইরটিক থ্রিলারের জন্য সাইন আপ করলে সেটা চোখেও পড়ে না, যখন পুরোটা সময় আবেদনময়ী রমণীর সান্নিধ্যে যাত্রা শুরু হয়েছে।

.একজন এক্স-মডেল তার মনরোগ-বিশেষজ্ঞের সাথে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ঘরে ডাক্তার থাকলে রোগীর আর চিন্তা কী? কিন্তু ব্যাপারটা আরও জটিল থেকে জটিলতর হয় কারণ এখানে যৌন চাহিদা সম্পৃক্ত এবং হয়তো মেয়েটার অতীতও। তবে দর্শক হিসেবে নির্ভর করতে হচ্ছে তার উপরই।

তার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায়

তার পেট ব্যথা, তো সেক্স হবে না, তার যদি মনে হয় তার প্রেমিক পরকীয়া করছে, তাহলে সেটাই সত্যি। স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন, বেড়াল, দ্বৈততা… নাহ! তার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় অন্য কারো শরণাপন্ন হতে হবে। স্ত্রীর সাথে একটা মুভি দেখে ঘুমাবো ভেবে Double Lover বেছে নেই, ধরে নেই টেনে না ধরলে কিছুক্ষণেই কেউ না কেউ ঘুমিয়ে পড়বো। তা আর হয় নি। থার্ড অ্যাক্টের দিকে দৈর্ঘ্য একটু বেশি মনে হওয়ায় স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লেও কোনক্রমে এই অসম্ভব সেক্সি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার শেষ না করে উঠবো না ঠিক করি।

কেননা, এধরণের মুভি ওয়াইল্ড রাইডের মত, সূতা ছিড়ে গেলে পড়ে ধরা মুশকিল। রহস্যময় গল্পে পে-অফের অস্থিরতা লেগেই থাকে, আবার দ্রুত গতি এবং প্রচুর রগড়ারগড়ি, রাতের নীরবতা চিড়ে মানুষের ঘুমের বিঘ্ন না ঘটিয়ে পারলে হেডফোন লাগিয়েই দেখি আর কি! ভালোবাসার দিবসে ডাবল-বিল হিসেবে লেট নাইটে এই জিনিস একদম খাসা, সাইকোলজিক্যাল ডিগবাজিতে ঠাসা! ফ্রান্সোইজ ওজনের বৈচিত্র্যময় লম্বা ফিল্মোগ্রাফিতে এরপর দেখবো Swimming Pool। তারপর পেছনের সেরাগুলো…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *