টিসিবির পণ্যের জন্য যাঁরা সকাল ১০ টার দিকে এসেছেন, তাঁদের একটা পর্যন্ত সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
টিসিবির সারিতে পুরুষের তুলনায় নারীদের ভিড় তুলনামূলক বেশি। দাঁড়ানো নিয়ে নারীদের সারিতে ঝামেলা বাধতেও দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত হয়ে অনেক নারীকে বসে পড়তেও দেখা গেছে।
বাবা-মায়ের পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূলে পণ্য পেতে ৮ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদেরও সারিতে দাঁড়াতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সারিতে এমন নারীরাও দাঁড়িয়েছেন, যাঁরা আগে কখনো দাঁড়াননি।
টিসিবির পণ্যের জন্য প্রথমবারের মতো সারিতে দাঁড়ানো নারীদের একজন শহীদনগরের শাহেদা। তিনি আরবি পড়ান। তিনি জানান টিসিবির পণ্য নেওয়ার জন্য আজ ছুটি নিয়ে এসেছেন বলে।
তিনি আরও বলেন,‘আমার পরিবারে ছয় সদস্য। নিত্যপণ্যের যা দাম দিন দিন যেভাবে বাড়ছে, কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে ছুটি নিয়ে টিসিবির পণ্যের জন্য এখানে এসে দাঁড়িয়েছি।
আজ দক্ষিণ নীলক্ষেত আবাসিক এলাকায় টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্যের আড়াই শ প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে একটি প্যাকেজ পেয়েছেন শারমিন নামের এক নারী। তিনি বলেন, টিসিবি থেকে ৬১০ টাকায় একটি প্যাকেজ পেয়েছেন।
এক কোটি পরিবারের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। টিসিবি প্রথম ধাপে আজ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে সাশ্রয়ী মূল্যে পাঁচ ধরনের পণ্য বিক্রি করবে। এরপর আগামী ৩ এপ্রিল শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের বিক্রি কার্যক্রম। এ ধাপের বিক্রি কবে শেষ হবে, তা গতকাল শনিবার পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি।
টিসিবির বিশেষ মাধ্যম থেকে জানানো হয়, আজ যে কার্যক্রম শুরু হলো, তা বাস্তবায়ন করতে ৮ মার্চ থেকেই জেলায় জেলায় পণ্য পাঠানো শুরু করেছে টিসিবি। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি জেলায় খাদ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও নির্ধারিত গুদামে টিসিবির পণ্য রাখা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে এক কোটি পরিবারের কাছে ১১০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হবে দুই লিটার করে সয়াবিন তেল। এ ছাড়া ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে চিনি, ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি করে পেঁয়াজ এবং ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব পণ্যের সঙ্গে যুক্ত হবে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে দুই কেজি করে ছোলা।