তিমির পেট থেকে যে ভাবে জীবিত ফিরলেন লোকটি

গভীর সমুদ্রে চিংড়ি ধরতে গিয়ে  এক ব্যক্তি কে তিমির  ঘিরে ফেলে ছিল । কিন্তু আজ তো মানুষ একবারে গিলতে না পেরে কয়েক মুহুর্ত পরেই কি মিটিয়ে দেয় । সেই লোকটি কে কিভাবে মৃত্যুর একদম কাছে চলে গিয়েও জীবন ফিরে পেয়েছেন লোকটি।

তিমির পেট থেকে যে ভাবে জীবিত ফিরলেন লোকটি

রাখে আল্লাহ মারে কে আল্লাহর দয়ায় বেঁচে যাওয়া এই লোকটির পরিচয় কি। কিভাবে তিমি  নিয়ে চলে গিয়েছেন আর কীভাবেই বা রক্ষা পেলেন। বিস্তারিত জানতে এই পোস্ট টি টি শেষ পর্যন্ত দেখুন । এখনো পুরো ঘটনাটি বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।

মাইকেলের নিজের ভাগ্যকে অবিশ্বাস্য মনে হয়। তার কাছেই এক বিরাট আকার তিমির জলজ্যান্ত শিকার হয়েও। এভাবে বেঁচে ফিরে আসাটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরুল। কিছুদিন আগেই আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের একটি দ্বীপে এই ঘটনাটি ঘটে।

তিমির পেট থেকে যে ভাবে জীবিত ফিরলেন লোকটি

মাইকেল ফ্যারাডের বয়স 56 বছর । ব্যবসায়ী তিনি মৎস্যজীবী এই ঘটনাটি। তিনি তার সহযোগীকে নিয়ে সমুদ্রের গলদা চিংড়ি স্বীকার করতে গিয়েছিলেন । মৎস্যজীবী তার সহযোগি আর সে এক সময় এক তিমির সামনে পরে ।এবং সে খানে ঘটে আসল ঘটনা।

মাইকেল কিন্তু একজন পুরোদস্তুর ডুবুরি ও সমুদ্রের গভীরে যায়

পাশাপাশি মাইকেল কিন্তু একজন পুরোদস্তুর ডুবুরি ও সমুদ্রের গভীরে ডুব দিয়ে তিনি গলদা চিংড়ি ধরেন। সেদিনও এমনটাই করছিলেন ।কিন্তু সেদিন ডুবন্ত অবস্থায় হঠাৎ তিনি একটা প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করেন আচমকা একটা ধাক্কা খান তিনি এবং তার চারপাশে একদম অন্ধকার হয়ে যায়।

আসলে মাইকেল যেখানে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সেখানে হাঙ্গরের নিয়মিত আনাগোনা আছে। আর তাই যখন তিনি মাছের পেটে চলে গিয়েছিলেন তখন তিনি ধরে নিয়েছিলেন কোন হাঙ্গর তাকে মুখে ঢুকিয়ে ফেলেছে । কিন্তু পরক্ষণেই তিনি বুঝতে পারেন না এটা কোনোভাবেই হাঙ্গর হতে পারেনা।

মাইকেলের ভাষ্যমতে তিনি শরীরের তেমন কোন যন্ত্রণা অনুভব করেননি। এ ছাড়া তিনি জানান টিমের মুখের ভিতর ও তিনি কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যেতে পার ছিলেন। তিনি মুখের ভিতর মাইকেল সর্বমোট 30 মিনিট ছিলেন মাইকেল বলেন।

আমি এক এবং অদ্বিতীয় ইশ্বরের উপাসনা করছিলাম । আমি বলছিলাম হে আমার সৃষ্টিকর্তা তুমি আমাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করো। যেভাবে তুমি প্রফেট জনকে উদ্ধার করেছ।আর আমি মন তেকে ধরে নিয়েছি আমি মনে হয় আর বাচবো না।

বাইবেল অনুসারে জন মানে হচ্ছে নবী ইউনুস

আমাকে উদ্ধার করো প্রিয় শখ । এখানে বাইবেল অনুসারে জন মানে হচ্ছে নবী ইউনুস এর কথা বলা হয়েছে । তিনি মহান আল্লাহ তাআলার দয়ায় মাছের পেট থেকে উদ্ধার পেয়েছিলেন।  বাইকেল এর ভাষ্যমতে এ দোয়া করার পরই তিনি শরীরের তেমন কোন যন্ত্রণা অনুভব করেননি ।

এ ছাড়া তিনি জানান তিনি মুখের মাঝেও তিনি কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যেতে পারছিনা আর কিছুক্ষণ পর আচমকাই তিনি তাকে বের করে দেয়। তিমির মুখ থেকে ছিটকে পড়ে কোনরকমে সাঁতার কেটে নিজের সহযোগীর কাছে ফিরে যান মাইকেল ।

এর পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো তার শরীরে সামান্য ব্যথা ছাড়া আর কোনো সমস্যাই পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে থাকা অবস্থাতেই সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে নিজ জীবনের এই অভূতপূর্ব ঘটনাটি শেয়ার করেন মাইকেল ম্যাসাচুসেট।

মাইকেল ভুল সময়ে ভুল জায়গায় গিয়েছিল

টাউন সেন্টার ফর স্টাডিজ এর তিনি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন মাইকেলের দাবি উড়িয়ে দেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না এই ঘটনা কোনোভাবেই মিথ্যে গল্প বলে মনে করি না।  আমি যাদের সাথে এই ঘটনা ঘটেছিল তাদের কে বিশাস করি।

আমি খুব ভালো মতোই চিনি। মাইকেল ভুল সময়ে ভুল জায়গায় গিয়েছিল ওর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ার ফলে সে বেচে ফিরতে বেড়েছে । সেদিন মাইকেলের পাশাপাশি তিনটি লক্ষ্য ছিল চিংড়ির যাক নিজের ক্ষুধা মেটানোর জন্যই হা করে সেই চিংড়ির দিকে ছুটে যায়।

tim v

তিমিটি তখন একসঙ্গে অনেক মাছ আর পানি তার মুখের ভেতর ঢুকে যায়। আর খুব সম্ভবত সেসবের সঙ্গেই মাইকেল ঢুকে যায় তিমির  টির মুখে। এই ঘটনাটা আমাদের আরো একবার জানান দেয় মানবজীবন কত রহস্য রোমাঞ্চ ভরপুর। প্রতিনিয়ত আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার কাছ থেকে আমরা কত রহমত পাচ্ছ।

রাখে আল্লাহ মারে

তাও বোঝা যায় এ থেকে জীবন যে কখন কাকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় । কেই বা বলতে পারে যে মুহূর্তে মনে হয় এই বুঝি ছুয়ে ফেললাম মৃত্যুকে। ঠিক তখনই নতুন জীবন এসে দাঁড়ায় দুয়ারের। নাম জীবন আল্লাহর দেওয়া একটি বড় অনুগ্রহ আসলে একটা কথা খুব বেশি সত্য । আর তা হলো রাখে আল্লাহ মারে কে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *