আমরা নানা কারণে আছে কিংবা কাশি দিয়ে থাকি, কিন্তু একজন মানুষের হাঁচি সম্পূর্ণ পৃথিবী অচল করে দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা সামনে নিয়ে এসেছে আমাকে ইউটিউবে নিয়ে এসেছে এবং আপনার জীবন কেউ কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত করেছে। যে আমি চীনে রোহানের প্রথম করনা আক্রান্ত ঐ ব্যক্তির কথা বলছি।
বাটারফ্লাই ইফেক্ট কেন হয়
প্রথম করণ আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অন্য মানুষের হাতের মধ্যে খুবই সামান্য পার্থক্য ছিল এবং সেই পার্থক্য হচ্ছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। তাহলে খেয়াল করে দেখুন খুবই সামান্য পরিবর্তন ও ভবিষ্যতে অনেক বড় প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে এবং এই বিষয়টিকেই বলা হয় বাটারফ্লাই ইফেক্ট। বাটারফ্লাই ইফেক্ট বিষয়টি প্রথম যখন প্রকাশিত হয়।
তখন গবেষণাপত্রের টাইটেল ছিল এরকম ব্রাজিল একটি প্রজাপতির পাখা। যাপনের ফলেই টেক্সাসের ধরনের হতে পারে সাধারণ মানুষের মনোজগতের বাটারফ্লাই ইফেক্ট যতটা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে অন্য কোন সাইন্টিফিক কনসেপ্ট সম্ভবত এতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। যার ফলে বাটারফ্লাই ইফেক্ট শিরোনামে প্রচুর মুভি শর্ট ফিল্ম টিভি সিরিজ তৈরি হয়েছে।
আইএমডিবিতে আপনি ৬০ থেকে ৭০ টির মত মুভি পেয়ে যাবেন বাটারফ্লাই ইফেক্ট শিরোনামে কিন্তু কি এমন বিশেষত্ব রয়েছে। এ বাটারফ্লাই ইফেক্ট এর আমরা যদি একটু পেছন ফিরে চাই নিউটন যখন তার গতি এবং মহাকর্ষ সূত্র প্রদান করেন। তখন মনে হয়েছিল যে মহাবিশ্বের সবকিছুর গতিপথ এডিট করা সম্ভব। যাকে একপ্রকার ভবিষ্যদ্বাণী বলা যেতে পারে। যেমন মানুষ নিখুঁতভাবে গ্রহ উপগ্রহের গতি পথ বলে দিতে পারছে বছরের কোন দিন বা কোন সময় সূর্য গ্রহণ হবে।
বাটারফ্লাই ইফেক্ট কি
কিংবা চন্দ্রগ্রহণ হবে তা আগে থেকেই খুব নিখুঁতভাবে বলে দিতে পারছে। কোন একটি নির্দিষ্ট ভরের বস্তুকে কোন একটি নির্দিষ্ট দিকে নির্দিষ্ট বেগে নিক্ষেপ করলে বস্তুটির কতটা দূরে গিয়ে পড়বে তা সব কিছু বেশি বলে দেয়া সম্ভব। ফ্রেন্ডস ক্রিতিসিজড টিআরসি মূল্যে ক্লাস 1 ত এক্সপেরিমেন্ট করেন তিনি সুপার ইন্টেলিজেন্ট এমন কিছু একটা কল্পনা করেন যা মহাবিশ্বের সকল বস্তুর ইনিশিয়াল অবস্থা মোমেন্টাম।
অন্য পার্টিকেলের সাথে কিভাবে ইন্টারেস্ট করবে তা জানবে এবং সুপার ইন্টেলিজেন্ট কিছু একটার মাধ্যমে ল্যাপলাস দেখান যে ভবিষ্যৎ বলে দেয়া সম্ভব। ইন্টেলিজেন্ট কিছু একটা যদি সত্যিকার অর্থেই সকল বস্তুর ইনিশিয়াল অবস্থার কথা জানতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ হবে অতীতের মত অর্থাৎ এ কি কি ঘটেছে তা যেমন আমরা বলে দিতে পারে।
ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে কি কি ঘটবে তাও আমরা বলে দিতে পারব। বিষয়টি হচ্ছে অতীতে যেমন ফিক্সট ঠিক তেমনই ভবিষ্যতে অলরেডি ফিক্সট। আমরা শুধু ভবিষ্যতকে বাস্তবায়ন করার জন্য অপেক্ষা করছে। যদিও কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর ক্ষেত্রে বিষয়টিকে এতটা সহজ সরলভাবে বলা যাবে না। তবে বড় বস্তুর ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ বলে দেয়া সম্ভব যেমন গ্রহ উপগ্রহ কিভাবে চলবে বা কোন গতিপথে চলবে।
বাটারফ্লাই ইফেক্ট
পড়ন্ত বস্তু কিংবা সরল দোলকের গতি ইত্যাদি একটি সরল দোলক কল্পনা করুন তো লোকটি যখন তুলতে থাকবে তখন সময়ের সাথে সাথে দোলকের বিস্তার কমতে থাকবে এবং বিস্তার কমতে কমতে দূরত্বে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এসে স্থির হয়ে যাবে যাকে বলে ট্রাক্টর। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি ফাইনাল স্টেট কি হবে।
আবার একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করলে যদি এই দুটোর সময় সেখানে কোন প্রকার না থাকে তাহলে দলটির সবসময় গতিশীল থাকবে। একটি নির্দিষ্ট সময় একদিকে এবং বাকি সময় বিপরীত দিকে অর্থাৎ এই ক্ষেত্রেও গোলকটির গতিপথ কেমন হবে তা আগে থেকে বলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আসলে বিষয়টি হচ্ছে।
- দ্বিতীয় কারন হল রজার ইবার্টের ফোর
- গ্রামবাসীর কাছে এই শিশু যেন আল্লাহর রহমত
- দেখুন কিভাবে লাইক কমেন্ট বৃদ্ধি করবে ফেসবুক
আপনি যদি শুধুমাত্র একটি বস্তু কল্পনা করেন তাহলে তাদের গতিপথ কেমন হবে তা আপনি আগে থেকেই নিখুতভাবে বলে দিতে পারবেন। কিন্তু দুটি বস্তুর স্থানে যদি তিনটি বস্তু হয় সে ক্ষেত্রে তাদের গতিপথ কেমন হবে তা আগে থেকেই নিখুঁতভাবে বলা খুবই কঠিন যাকে বলেছি বডি প্রবলেম। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, সূর্য পৃথিবী এবং চাঁদে গতিপথ এখানে অবশ্য একটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে দুটি বস্তুর যদি আপনি ইন্ডিভিজুয়াল চিন্তা করেন শুধুমাত্র পৃথিবী এবং চাঁদ সে ক্ষেত্রে আপনি গতি নিখুঁতভাবে আগেই বলে দিতে পারবেন।
কিন্তু এখানে যদি আপনি অন্য কোন বস্তু নিয়ে আসেন অর্থাৎ সূর্যের মতো কিছু একটা ইনবক্স করেন সেক্ষেত্রে গতিপথ বলা সহজ হবে না এবং এই জন্যই নিউটন ও তার বন্ধু হেলিকে বলেছিলেন চাঁদের গতি ওদের বিষয়টি ভাবতে গেলেই তার মাথা যন্ত্রণা করে।
বাটারফ্লাই ইফেক্ট কিভাবে হয়
নিউটনের ২০০ বছর পর হ্যান্ডি প্রকার বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে দেখান। জেসিবি প্রবলেম এর সাধারন সহজ-সরল কোন সমাধান নেই। এর পর অনেকটা সময় অতিবাহিত হয় হাজার 961 সালে এমআইটি এর ম্যাথ উরোলজিস্ট এডোয়ার্ড লরেন্স তার কম্পিউটারে অদ্ভুত একটি বিষয় লক্ষ্য করেন যা পরবর্তীতে বিজ্ঞানের এক নতুন ধারা তৈরি করে।
তার কম্পিউটারের সাহায্যে বারোটি বেরিয়ে বক্স ব্যবহার করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নির্ণয় করতেন। বারোটি ভেরিয়েবলের মধ্যে ছিল তাপমাত্রা, বায়ুর, চাপ, আর্দ্রতা, বাতাসের গতিবেগ, পৃথিবীর ঘূর্ণন ইত্যাদি। একদিন তিনি কি মনে করে যেন কম্পিউটারে ইনপুট হিসেবে দশমিকের পরে ছয় সংখ্যার পরিবর্তে 3 সংখ্যা বসিয়ে কফি খেতে বাইরে চলে যান এবং কিছুক্ষণ পরে তিনি যখন তার অফিসে ফিরে আসেন।
তখন অবিশ্বাস্য একটি বিষয় লক্ষ্য করেন যা ছিল একটি সাইন্টিফিক রেভ্যুলেশন। তিনি দেখেন দশমিক এর পরের তিনটি সংখ্যার না বর্ষণের ফলে কম্পিউটার সিমুলেশন সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রদর্শন করছে। লরেন্স প্রথমে মনে করেছিলেন কম্পিউটার অথবা কোন একটা সমস্যা হয়েছে। কিন্তু না পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন ইনিশিয়াল অবস্থার খুবই সামান্য পরিবর্তন ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি তৈরি করতে পারে।
কারণ আপনি খেয়াল করে দেখুন দশমিকের পরে মাত্র তিনটি সংখ্যা না বর্ষণের ফলে সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহাওয়া পাওয়া যাচ্ছিল। যাই হোক এই ঘটনার পর ওয়েদার সিমুলেশনের ইকুয়েশন গুলোকে সিমপ্লিফাই করতে করতে মাত্র তিনটি কোশ্চেনের নিয়ে আসে। একটি হচ্ছে সে তিনটি ইকোয়েশন এখন একটি থ্রি ডাইমেনশনাল গ্রাফ কল্পনা করুন।
তিনটি ডিফারেন্সিয়াল
যার তিনটি অক্ষর যথাক্রমে এক্স ওয়াই জেড। এখন উদাহরণ হিসেবে আমরা ধরে নেই তিনটি অক্ষর প্রথমটি হচ্ছে তাপমাত্রা দ্বিতীয়টি হচ্ছে বায়ুপ্রবাহের বেগ এবং তৃতীয় অক্ষরটি আদ্রতা নির্দেশ করে তাহলে গ্রাফের এই অংশটি প্রচন্ড ঠান্ডা বায়ুর সাথে বৃষ্টিপাত নির্দেশ করবে এবং বি পরিস্থান টি সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহাওয়া নির্দেশ করবে এখন একটি নির্দিষ্ট দিনের তাপমাত্রা বায়ু প্রবাহ এবং এই তিনটি ডিফারেন্সিয়াল।
বসালে সময়ের সাথে সাথে পরবর্তী দিনগুলোতে আবহাওয়া কেমন হবে তার একটি গতিপথ পাওয়া যাবে এবং গতি পথ অনুসরণ করলে দেখা যাবে এটি একটি প্রজাপতির মত তৈরী করে। এখন যদি আপনি এই গ্রামে বায়ুপ্রবাহ আর্দ্রতা তাপমাত্রার মান পরিবর্তন করে দেন অর্থাৎ ইনিশিয়াল অবস্থার পরিবর্তন করে দেন তারপরেও গতিপথ এই প্রজাপতির ছবি ধারণ করে।
গ্রাফ এর মধ্যে আবহাওয়ার গতিপথের এমন আচরণকে বলা হয় লরেঞ্চে ট্রাক্টর বাস-ট্রেন ট্রাক্টর অর্থাৎ গতিপথকে সম্পূর্ণ আনপ্রেডিক্টেবল। কিন্তু আবার দেটার্মিনিস্টিক একটি সীমিত সীমার মধ্যে অসীম ধরনের সম্ভাবনা। এই বিষয়টিকে আবার এলোমেলো মনে করবেন না। বিষয়টি হচ্ছে আনপ্রেডিক্টেবল অর্থাৎ আগে থেকেই কোন কিছু বলা সম্ভব নয় অর্থাৎ যা ঘটবে তা একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ঘটবে। কিন্তু এই সীমার মধ্যে কি ঘটবে তা বলা অসম্ভব এই বিষয়টিকে বলা হয় ডিটারমিনেশন বাংলায় যার অর্থ দাঁড়াবে নির্ধারক বিশৃংখলা।
যাইহোক এখন এই দুটি বিন্দু খুবই কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের ভিন্ন ধরনের আবহাওয়া মনে করুন এখন এই দুইটি ভিন্ন ধরনের আবহাওয়ার বিভিন্ন ভেরিয়েবল অর্থাৎ তাপমাত্রা আদ্রতা ইত্যাদির মধ্যে খুবই সামান্য পার্থক্য রয়েছে। এখন এই দুইটি আবহাওয়ার গতিপথে চরিত্রটি গ্রাফের দেখা যায় তবে দেখা যাবে কিছুটা সময় পর্যন্ত আবহওয়া প্রায় আইডেন্টিক্যাল থাকবে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে স্বল্প সময়ের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস কেমন হবে তা বলা যাচ্ছে।
নির্ধারক বিশৃংখলা
কিন্তু কিছু সময় পর আবহাওয়া দুইটির মধ্যে বিশাল পার্থক্য দেখা যাবে। কোন একটি যদি ঠান্ডা আবহাওয়া প্রদর্শন করে তবে অন্যটি হয়তোবা প্রচন্ড গরম হয় নির্দেশ করবে। যদিও তাদের প্রাথমিক অবস্থা কন্ডিশন একরকম ছিল ফলে সময়ের সাথে সাথে তাদের পরিবর্তন হওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাবেন নাটকীয় ভাবে বিশাল পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। তার মানে বলা যায় দুটি বিষয়ের ইনিশিয়াল অবস্থার মধ্যে যদি খুবই সামান্য পরিমাণ পার্থক্য থাকে তবে ভবিষ্যৎ বলাটা সম্পূর্ণ আনপ্রেডিক্টেবল হয়ে যায় এবং এজন্য খুব বেশি দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস সঠিকভাবে বলা যায়না।
সর্বোচ্চ হয়তোবা আগামী সাত দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে তা নিখুঁতভাবে বলা সম্ভব।কিন্তু এরপর কি হবে তা বলা অসম্ভব কারণ আমাদের পক্ষে কোন একটি তাপমাত্রা ও আদ্রতা কিংবা যে অন্যান্য ফ্যাক্টরিগুলো রয়েছে তার নিখুঁতভাবে ১০০% আকৃতির মাধ্যমে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। যার ফলে সকল ফ্যাক্টরগুলোর যখন কম্পিউটার সিমুলেশন বসানো হয় তখন আগামী পাঁচ দিন পাঁচ ছয় দিনের আবহাওয়া কেমন হবে তা জানা যায়। কিন্তু এরপর বলা সম্ভব নয় এবং যে সকল সিস্টেম এর ক্ষেত্রে লংটাইম পিডিকশন করা যায় না।
অর্থাৎ এর ক্ষেত্রে ফলাফল অনিশ্চিত হয়ে যায়। সেই সকল সিস্টেম গুলোকে যার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয় তাকে বলা হয় কি? অবস্থা পর্যবেক্ষণ হাজার 972 সালে একটি কনফারেন্সে উপস্থাপন করতে চান কিন্তু তিনি এই বিষয়টি টাইটেল নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রে লেট করে ফেলেন। ফলে যারা কনফারেন্স আয়োজন করেছিলেন তারা নিজেরাই এই বিষয়টির একটি টাইটেল দিয়ে দেন এবং তা হচ্ছে।
ব্রাজিল একটি প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর ফলে কি রোগ হতে পারে এবং এখান থেকে জনমনে বাটারফ্লাই ইফেক্ট তবে এই বাটারফ্লাই ইফেক্ট কে আমরা যতটা সহজ সরলভাবে মনে করি। যে বর্তমানে একটি সামান্য পরিবর্তন ভবিষ্যতে অনেক বড় ইম্প্যাক্ট নিয়ে আসতে পারে বাটারফ্লাই ইফেক্ট কিন্ত তার চেয়েও অনেক বেশি সমৃদ্ধ।