ভারতে করোনাভ্যাকসিন হিসেবে গোমূত্র এবং কঠিন পরিণতি

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু মানুষের শরীর চুম্বকের মত হয়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে ।

ভারতে করোনাভ্যাকসিন হিসেবে গোমূত্র এবং কঠিন পরিণতি

ফুটেজে দেখা যায় শরীরে আটকে যাচ্ছে কয়েন খুন্তি চামচ এমনকি মোবাইল ফোন চুরি সহ বিভিন্ন ধাতব বস্তু। শুধু পশ্চিমবঙ্গে এমন 4 জন ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে ।তারা দাবি করেন করোনার টিকা নেয়ার পরে শরীর চুম্বক হয়ে গেছে জানিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছে ।

আতঙ্ক ছড়িয়েছে জনসাধারণের মনি নেপালবাবু নামে এক ব্যক্তির দাবি গেল 7 জুন করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণের পর তার শরীরে উল্কি যাচ্ছে ধাতব বস্তু চিকিৎসকরা বলছেন ভ্যাকসিন এর সঙ্গে এ ধরনের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ কেউ হয়ত বিজ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে অন্য কোন উপায়ে শরীরের ধাতব রাখার চেষ্টা করছে ।

ভারতে করোনাভ্যাকসিন হিসেবে গোমূত্র এবং কঠিন পরিণতি

এবং এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মনের ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।  তাই এ বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে ভ্যাকসিন গ্রহণকারী এক ব্যক্তি বলেন। সবার কথা শুনে আমি ভাবলাম দেখি আমার শরীরে চামচ আটকে থাকে কিনা।

গোমূত্র খাওয়ানো হচ্ছে কোভিড কেয়ার সেন্টারে

তখন আমি খাচ্ছিলাম এবং খেতে খেতে একটি চামচ আমি আমার শরীরে লাগে না পরবর্তীতে দেখলাম সিটি চুম্বকের মত আমার শরীরে আটকে গেছে । তারপর আমি বিষয়টি নিশ্চিত হবার জন্য পয়সা চামচ খুন্তি মোবাইল এগুলো লাগাচ্ছিলাম দেখলাম এগুলো সবই আমার শরীরের সাথে চুম্বকের মত লেগে যাচ্ছে ।

এক চিকিৎসক বলেন ভ্যাকসিনের যে ম্যাটেরিয়াল যেসকল কেমিক্যাল দিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে তার সাথে ম্যাগনেটিক সাবস্টেন্স এর কোন সম্পর্ক নেই। অন্য কিছু হতে পারে যেকোনো খাবার বা শরীরে এমন কোন বস্তু যাওয়ার ফলে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হতে পারে।

সম্পর্ক নেই এখানেই শেষ নয় গত কয়েকদিন ধরেই করোনাভাইরাস এর চিকিতসায় গোমূত্র এবং গোবর সেবনের অভ্যেস তৈরি হয়েছে বেশ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী গোবর পৃথিবী এবং জীবনের প্রতি অনেকেই গোবর কি চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করে থাকেন ।

ভারতের রাজস্থানে গরুর দুধের চেয়েও গোমূত্র বেশি লাভজনক

আদিকাল থেকে যদিও এর বিজ্ঞানসম্মত কারণ তবে এই আবহে গুজরাতে নাকি এই গুগল মাথার অভ্যেস চিকিৎসকদের মধ্যেও দেখা গিয়েছে গৌতম মুনির নানা মত। এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার এর দাবি গত বছর তিনি নিজের মাথার নিচের এই কবিতা থেকে মুক্তি পান তিনি বলেন আমরা তো এখানে ডাক্তারদেরও আসতে দেখি।

এটা তাদের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে এভাবে তারা নির্ভয় রোগীদের চিকিৎসা করতে পারি। গুজরাটে অবস্থিত জাইডাস ক্যাডিলা হেডকোয়ার্টার এর কাছে অবস্থিত। শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানটি হিন্দুদের দ্বারা পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে ।

গোবর মেখে নিজেদের করোনামুক্ত। কোনটি প্রথমে কোন মেয়েকে অনেকক্ষণ থাকার পর তা শুকিয়ে গেলে দুধ দিয়ে তারা সেই ঘটনাটা ধুয়ে ফেলে  । কিন্তু এ বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বারবার সতর্ক বার্তা দিয়েছে এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এর জাতীয় প্রেসিডেন্ট ডঃ বিলাল বলে কোন প্রমান নেই যে গোবর-গোমূত্র ফোনই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এর ফলে ইমিউনিটি পারে এটা পুরোপুরি বিশ্বাস এর আঁধারে করা হচ্ছে এটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রমানিত সত্য নয়। এছাড়াও যারা এমনটা করছেন এর ফলে করণা থেকে মুক্তি তো পাবেনই না উল্টো আরো অন্যান্য রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে ।

গরু, গোমাংস ও গোহত্যা নিয়ে রাজনীতির কথকতা

তাই অন্তত এ ধরনের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে সাধারন মানুষদের বিভ্রান্ত না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। গুজব ছড়ানো পৃথিবীর যে কোন ধর্মে একটি নিকৃষ্ট কাজ এমনকি ইসলাম ধর্মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছিলেন সব সোনা কথা।

gobor

বৃত্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট সুনানে আবু দাউদ হাদিস নম্বর 4992 এছাড়াও পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে হে মুমিনগণ তোমাদের কাছে যদি কোন ফাসেক ব্যাক্তি কোন সংবাদ নিয়ে আসে তবে তা যাচাই করো। অজ্ঞতাবশত কোনো গোষ্ঠীকে আক্রমণ করার আগেই যাচাই করা প্রয়োজন  ।

না হলে তোমরা তোমাদের প্রীত কর্মের জন্য পরবর্তীতে লজ্জিত  হবে ।উন্নত বলা হয়েছে যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই তার অনুসরণ করোনা । নিশ্চয়ই  যোগ অন্তরের প্রতিটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *