আসসালামুয়ালিকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ সুপ্রিয় ,পাঠক বিন্দু আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দোয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। প্রিয় পাঠক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেরাজের রাতে জাহান্নামী এক মহিলাকে দেখলেন, যে তার জিহ্ববা ধারার ঝুলন্ত অবস্থায় আছে অর্থাৎ তার পুরো শরীর জুড়ে আছে তার জিহ্ববা উপর ।
ভুলেও পাঁচটি বাক্য আপনার স্বামীকে বলবেন না তাহলে জাহান্নামী হবেন
অর্থাৎ জিহ্ববা টা টেনে বের করে , সে জিহ্ববার সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার সম্পর্কে জিব্রাইল আলাই সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন এই মহিলা কি কি কারণে লোমহর্ষক শাস্তি দেয়া হচ্ছে ?
জিব্রাইল আলাই সাল্লাম বললেন, এই মহিলাটি তার স্বামীর সাথে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতো এবং সে তার স্বামীকে কষ্ট দিত। মূল কারণ হচ্ছে মানুষের মুখের কথা এবং কাজ ।মুখের কথার কারণে , বিয়ের মত এত সুন্দর ও মজবুত বন্ধন ভেঙ্গে যেতে পারে ।
মুখের কথায় হয়তো শারীরিক কষ্ট পাওয়া যায় না ,কিন্তু মানসিক যে কষ্ট পাওয়া যায় তার হৃদয় ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট । উপমহাদেশের একজন আলেমে দ্বীন মাওলানা তারিক জামিল বলেন , সাপের বিষ যখন সাপ কামড় দেয় তখন দেহে প্রবেশ করে।
স্বামীর সাতে খারাপ ব্যবহার করা
আর এই বিষাক্ত বিষ যে মানুষকে দুর্বল করে। অতঃপর যখন অ্যান্টিডোট দেওয়া হযৎ। তখনি ভাইরাস নাশক ইনজেকশন প্রদান করা হয়। আস্তে আস্তে সে বিষ এমন ভাবে নির্মূল হয় যায় যে , মানুষের শরীর থেকে বৃষ্টি নির্মল হওয়ার পর এসে এত সুস্থ হয় । কখনো তাকে সাপ ধংশন করেছিল তা মনে হয় না ।
কিন্তু মানুষের মুখের যে বিষ , মানুষের মুখের ভাষা যেভাবে মানুষের অন্তরে বিষের মতো ছোবল দেয়। সে বিষ বের করার জন্য কোন অ্যান্টিডোট না থাকায় অনেক মানুষের কথায় কষ্ট পেয়ে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত সে যন্ত্রণায় ছটফট করে ।
- আবার সাসপেন্সের চোটে পর্দা থেকে চোখ
- সেক্ষেত্রে পরিচালক নতুন হোক বা অভিজ্ঞ
- হ্যানিবল লেক্টারের সাথে অনেকেরই পরিচিতি
যখনই মনে হয় যে আমাকে এমন কথা বলা হয়েছিল, প্রিয় ভাইয়েরা আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের মুখে কথা এতটা ভয়ঙ্কর যে, তারা এমন কথা বলে মানুষকে আঘাত দেয় যে, জীবন সে কথার আঘাত সে কষ্ট মানুষের অন্তরে রয়ে যায়।
প্রিয় পাঠ হাদিস মুদ্রিত এই মহিলাটি ঠিক এমনি কাজ করে থাকতেন । সেই স্ত্রীলোকটি মাঝে মাঝে এমন কথা বলে বসলেন, যার কারণে নিজের অজান্তেই স্বামীর মনে অনেক কষ্ট দিয়ে থাকতেন। আবার মাঝে মাঝে রাগ হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতেন। আজকের পোস্ট টি তে আলোচনা করি যে পাঁচটি কাজ বা কথা আপনি আপনার স্বামীকে ভুলেও কখনো বলবেন না যাতে সে কষ্ট পাতি।
স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপারে কটাক্ষ করা
না আর যদি স্বামী কষ্ট পায় , তাহলে মৃত্যুর পর সেই নারীর মত শাস্তি পেতে হবে।এক স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপারে কটাক্ষ করা । নিজের সংসার চালানোর মতো অর্থ যদি কোন পুরুষের না থাকে, তাহলে তিনি নিজেই অনেক বেশি পরিমাণে বিষন্ন হতাশ থাকেন।
নিজের জীবনের উপরে তার উপর তার স্ত্রী যদি অর্থনৈতিক বিষয় কিছু বলে ফেলেন, তাহলে তার আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায়। নিজের প্রতি আস্থা থাকে না নষ্ট হয়ে যায়। এবং সে অনেক বেশি মানসিক কষ্ট পেতে থাকে।আর এভাবে বলে কখনোই তাকে বেশি উপার্জন ক্ষমতা করা সম্ভবই নয় বরং তাকে হতাশ করে ব্যক্তিগত জীবন ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাওয়া হয় ।
তাই সব সময় উৎসাহ মোটিভেশন দেবেন। তাকে বেশি বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবেন। কখনোই তাকে কষ্ট দিবেন না ব্যথা দিবেন না । দুই অন্যের সামনে স্বামীর কোনো কিছু নিয়ে মজা করা পুরুষরা একেবারেই পছন্দ করেন না বরং এই কাজের কারণে অনেক বেশি কষ্ট পেয়ে থাকেন ।স্ত্রী যত কাছের মানুষের কাছেই হোক না কেন, স্বামীর কোনো বিষয় নিয়ে মজা করলেন এটা স্বামী পছন্দ করেন না।
অন্যের সামনে স্বামীর কোনো কিছু নিয়ে মজা করা
তখন সে মজার পর্যায়ের না নিয়ে নিজেকে ছোট ভাবতে থাকে , তাই এই কাজটি করে আপনি অনেক মজা পেল আপনার অজান্তেই আপনার স্বামী মনে অনেক কষ্ট পাচ্ছেন। পৃতিনগর স্বামীর কাজের ব্যাপারে কটাক্ষ করা আপনার স্বামী আপনাকে ভালোবাসেন বলেই আপনার জন্য কিছু করতে উৎসাহী হন ।
কিন্তু আপনি যদি বারবার তার কাজে ভুল ধরা তা নিয়ে কটাক্ষ করতে থাকেন। তাহলে তিনি উৎসাহ তো হারাবেই সাথে বেশ কষ্ট পাবেন । তার কাছে মনে হবে তিনি যাই করুন না কেন? তার কাছে তার কোন কিছুর মূল্য নেই । তাই স্বামী যা করেন তার প্রশংসা করুন। যদি ভুল কাজ করে , তাহলে তা নিয়ে কটাক্ষ করার কিছু নেই ।বুঝিয়ে তার ভুল্টা ভালো করে শুনিয়ে দিন ।
সব ব্যাপারে অভিযোগ করা। সব কিছুর ব্যাপারে যদি স্বামীর কাছে অভিযোগ করতে থাকেন ,তাহলে তিনি মনে অনেক বেশি কষ্ট পেতে থাকে। কারণ আপনার অভিযোগে তিনি নিজেকে অনেক ছোট ভাবতে থাকেন। নিজের আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকেন । তিনি আপনাকে সুখে রাখতে পারছেন না বলেই আপনার এত অভিযোগ ।আর এই বেপরোয়া কর্মকাণ্ড তাকে অনেক কষ্ট দিয়ে থাকে।
সব কিছুর ব্যাপারে যদি স্বামীর কাছে অভিযোগ করতে
ছোট বড় সকলের ব্যাপারে দোষারোপ করা হয়তো রাগ উঠলে মুখ ফসকে বলে ফেলেন। এই অবস্থার জন্য তুমি দায়ী কিন্তু এই কথাটি আপনার স্বামীর মনে গভীর আঁচড় কাটে । ছোট বড় সকল ব্যাপারে যদি আপনি তাকে দোষারোপ করতে থাকেন, তাহলে তিনি অনেক বেশি হতাশ হয়ে পড়েন। এই কারণেই তিনি হয়তো আপনার জন্য কিছুই করতে পারছেন না।
তাই প্রিয় বোনেরা আপনারা আপনাদের স্বামীর কেউ ভুলেও এই পাঁচটি কথা বা কাজ করে কষ্ট দিবেন না। অযথা কষ্ট দিবেন না মনে রাখবেন ।আপনার জন্য হাজারগুন বড় বড় সাপ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে কেয়ামতের দিন দংশন করবে। ফলে আপনার উপর অভিশাপ নামতে পারে।
আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুক আমিন