মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদের মৃত্যু সময় শেষ কথাগুলো

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ সুপ্রিয় পাটক  আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দোয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। মৃত্যু শয্যায় খালিদ বিন ওয়ালিদ দুর্বল কন্ঠে তার স্ত্রীকে বিছানার পাশে বসতে বললেন ।

মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদের মৃত্যু সময় শেষ কথাগুলো

খুব প্রয়োজনীয় একটি প্রশ্নের উত্তর জানার বাকি রয়ে গেছে। এই সেই মহাবীর খালিদ জিনি  সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপ্রধান। যার নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী ১০০ টিরও বেশী যুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং কোনটিতেই পরাজয় বরণ করেনি।

মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদের মৃত্যু সময় শেষ কথাগুলো

তা রণকৌশল আজও বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণের সময় অর্থ হিসেবে শেখানো হয়। তবে মুসলিম দেশগুলোতে আজও অনেক বিগ্রেড যুদ্ধবিমান  নামকরণ করা হয় খালিদ বিন ওয়ালিদ এর নামে।  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  তাকে সাইফুল্লাহ উপাধি দিয়েছিলেন । এই শব্দের অর্থ হলো আল্লাহর তরবারী।

খালিদ বিন ওয়ালিদ মুসলিম বাহিনীর সেনা প্রধান হিসেবে তুখোড় বিজয়ী আর ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় তৎকালীন খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব এর নির্দেশে বিনা বাক্যব্যয়ে সেনাপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাধারণ সৈনিক হিসেবে লড়াই করা শুরু করেন।

অপরাজিত মুসলিম বীর খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.)

নেতার নেতৃত্বে মানতে হবে এতে ইসলামের ভীষণ জোর দিয়ে বলা হয়েছে । নেতার নির্দেশে প্রতি আনুগত্য একজন সত্যিকারের বীরের মতো । স্ত্রীকে খালিদ বিন ওয়ালিদ বললেন প্রিয়তম  স্ত্রী আমি বেশিক্ষণ বাঁচবো বলে মনে হচ্ছে না।

একটা আফসোস এই বিদায় বেলায় ভীষণ কষ্ট দিচ্ছি ।তুমি কি উত্তর দিতে পারো ,খালিদের স্ত্রী বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করলেন হে মহাবীর কি প্রশ্ন আপনার মনে । ৫৭ বছর বয়সের খালেক বললেন তুমি আমার সারাটা শরীর পরীক্ষা করে দেখো ।

এমন কোন স্থান আমার শরীরে আছে, যেখানে শত্রুর তরবারির আঘাত নিয়। দীর্ঘক্ষন পরীক্ষা করে স্ত্রীর উত্তর দিলেন না । আল্লাহর রাস্তায় আপনি এত বেশি যুদ্ধ করেছেন যে,  শত্রুর আঘাত আপনার সারাটা শরীরে লেগে আছে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেখেছিলেন সাইফুল্লাহ

খালিদ বিন ওয়ালিদ দুঃখ নিয়ে বললেন, আল্লাহর কসম প্রতিটি জেহাদে আমার নিয়াত থাকতো আমি যেন ময়দানে শত্রুর আঘাতের আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে যাই। আমি যেন শহীদের মর্যাদাপায়। কিন্তু আফসোস আর যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যু না হয় আমার মৃত্যু হচ্ছে আমারই বিছানায়।  আমায় কি আল্লাহ শহীদদের মাঝে রাখতে চান না।

স্বামীর আফসোস দেখে স্ত্রী কিছুক্ষণ মৌন রইলেন। এরপর করলেন সেই বিখ্যাত উক্তি, স্ত্রী বললেন আপনার নাম সয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেখেছিলেন সাইফুল্লাহ। অর্থাৎ এর মানে হছেচ স্বয়ং আল্লাহর তরবারী।

আচ্ছা বলুন তো, এমন কোন কিছু কি দুনিয়ার বুকে আছে?  যেটা আল্লাহর তরবারী মোকাবেলা করতে পারে। তাইতো ময়দানে আপনার মৃত্যু হয়নি ।কারণ , আল্লাহ তাঁর তরবারি মাটিতে লুটিয়ে যেতে দেননি ।ভীষণ খুশি হলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ ।

জেনারেল খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্ব

স্ত্রীর এই উত্তরে বুঝতে পারলেন,আল্লাহর ইচ্ছা এবং কিছুক্ষণ পরে শান্তিতে বেহেশতের রাস্তায় চলে যাবেন ইনশাআল্লাহ । আমরা অনেকেই সম্রাট জুলিয়াস সিজারের গুনো গান করি, আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট এর গল্প মন দিয়ে শুনি  , নেপোলিয়নের শ্রেষ্ঠ বলি ।

অথচ নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে গবেষণা করলেই সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবে যে , জেনারেল খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্ব গুণ বৃহত্তর রণকৌশলের সামনে অন্য যেকোনো সেনানায়ক তুচ্ছ। পৃথিবীতে খালিদ বিন ওয়ালিদ এক এবং অদ্বিতীয় আমার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা মনে হয় ।

Capture

তাকে আর এসব কোন গল্প কাহিনী নয় । ইতিহাস ঘাঁটলেই তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ। এমন বীর সাহাবীদের জীবনী যেন আমাদের প্রতিদিনের পথ চলায় অনুপ্রাণিত করে। এই সকল বিষয় যেন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়। আমাদের ইতিহাস কৃষ্টি ঐতিহ্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব এমন ভাবে তুলে ধরা হয় না।

মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদ

বিধায় ইসলাম একটা ক্ষতিগ্রস্ত পর্যায়ে। আজ আমরা নিজেদের ইসলামের বীরদের কথা ভুলে গেয়েছি। আমাদের  পোস্ট গুলো ভাল লাগলে ,আমাদের পেইজে লাইক দিতে পারেন এবং আমাদের আরও ইসলামি পোস্ট পেতে চাইলে পোস্ট এর ভিতর থাকা লিংকে ক্লিক করতে পারেন।

আল্লাহ হাফেয । ভাল তাকবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *