মাদার তেরেসার মত ভালো মানুষগুলো ও জাহান্নামী

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ডক্টর জাকির নায়েকের খুবই জটিল একটা প্রশ্ন করে পেলে এক জন ব্যক্তি। তিনি বলেন আচ্ছা ডক্টর জাকির নায়েক খুব ভালো সৎকর্মশীল একজন মানুষ ।শুধুমাত্র কালেমা পড়ার  কারণে জাহান্নামে । আল্লাহ বলবেন এটা একটা অবিচার নয়।

মাদার তেরেসার মত ভালো মানুষগুলো ও জাহান্নামী

এই যেমন ধরুন মাদার তেরেসা জীবনভর মানুষের উপকার করেছেন । কালেমা পড়েননি শুধু এজন্য তাকে জাহান্নামে পড়বেন আশা করি । আপনি একটা সুন্দর উতর তো দিবে ।সুবাহানাল্লাহ ডক্টর জাকির নায়েকের বর্তমান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তাদের মধ্যে একজন ।

মাদার তেরেসার মত ভালো মানুষগুলো ও জাহান্নামী

আল্লাহতালা তাকে প্রজ্ঞা এবং জ্ঞান দান করেছেন । তিনি খুব সুন্দর করে উত্তরে বলেন , দেখুন বোন জান্নাত এবার স্বর্গে যাওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে চারটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সূরা আসরের বলেন ওয়ালা শ্রী ইন্নাল ইনসানা লাফি হচ্ছে ইল্লাল্লাহু আমিনুল সলিহাতি।

মাদার তেরেসার ধর্ম কি

সকল মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত হয়েছে। ওই সকল লোক ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে। সৎকাজ করেছে এবং একে অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে । জান্নাতে যাওয়ার কমপক্ষে চারটি শর্ত রয়েছে । এ কিভাবে আমি আমার উদাহরণ দিচ্ছি ।

একটু পর জাকির নায়েক বলেন , আমি এসএসসি পাস করেছি1982 সালে। তখন আমাদের 6t সাবজেক্টে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। ইংরেজি ,গণিত, বিজ্ঞান , ইতিহাস , ভূগোল । এখন আপনাকে একটি প্রশ্ন করি । 6 টি বিষয় থেকে আমি পাচটা তেই 193 পেলাম। আর একটা সাবজেক্টে পেলাম 10 নম্বর তাহলে আমি কি পাস করতে পারব ।

তখন সেই নারী বললেন অবশ্যই না । কেন পাস করতে পারবো না ? আমি তো ইংরেজিতে 99 পেয়েছি বাংলা 99 82 99 আর অন্য কোন বিষয় যদি আমি ফেল করি তাহলে পুরোটাই ফেলে কিভাবে। জান্নাতে যেতে চারটি শর্ত পূরণ করতে হবে সৎকর্ম।

মাদার তেরেসার সমালোচনা

মানুষকে সত্যের দিকে দাওয়াত দেওয়া 4 ধৈর্যের উপদেশ দেওয়া। হবে আপনি বললেন মাদার তেরেসা ছিলেন সৎকর্মশীল কিন্তু সৎকর্মশীল বলতে সালাত আদায় যাকাত দেওয়া ইত্যাদি বুঝায় । তর্কের খাতিরে যদি আমি আপনার সাথে একমত হই যে অমুসলিম হওয়া সত্বেও মাদার তেরেসার মানবীয় গুণাবলীর সৎকর্মশীলও।

তা যেগুলো আল্লাহতালা মূল্যায়ন করে থাকেন কারণ আল্লাহ কুরআনে বলেছেন আল্লাহ সৎকর্মশীলদের কে ভালোবাসেন। তো সেই দিক বিবেচনায় তর্কের খাতিরে যদি আপনার সাথে একমত হই। তাহলে তিনি 99 পেয়েছ… শুধুমাত্র এক সাবজেক্টে ফেল হয়েছে।

কিন্তু সেখানে কোথায় কেননা যদি আপনি তর্ক করে থাকেৎ। তাহলে আপনি পুরোটাই ফেল শির্কের ব্যাপারে যদি বাইবেল পড়েন ।তাহলে সেখানে বলা হয়েছে আমার কোন প্রতিকৃতি নেই । তুমি মূর্তি বানিয়ে কোন কিছুর প্রতি মূর্তি তৈরি করুন আকাশের উপরে পৃথিবীর নিচে বা পানির নিচের কোন কিছুর সাথে তাদের কাছে তাদের সেবা করুন ।

তোমাদের প্রভু খুব ঈর্ষাপরায়ন খ্রিস্টান ধর্মের করা হারাম । সেইসাথে আল্লাহ রব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার 72 নম্বর আয়াতে বলেন, এখানে আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেন অবশ্যই তারা কুফরী করেছে। যারা বলেছে নিশ্চয়ই আল্লাহ হচ্ছেন মরিয়ামের পুত্র ।

যে দুই কারণে মানুষ বেশি জান্নাত ও জাহান্নামে যাবে

তোমরা আমাদের রব আল্লাহর এবাদত করে। নিশ্চয়ই যে আল্লাহর সাথে শরীক করে তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছে। এবং তার ঠিকানা আগুন আর জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই  । যীশুখ্রীষ্ট ঈসা আলাইহিস সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করল আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার জন্য জান্নাত হারাম করবে।

ja

তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাদের বসবাস স্থল হবে জাহান্নাম এবং জালেমরা কোন সাহায্যকারী পাবে না। তাই কুরআন এবং বাইবেল অনুযায়ী যদি কেউ  শিরেক করে থাকে । সেই যাই হোক ,মাদার তেরেসা বা অন্য যে কেউ তাহলে সে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না। আশা করছি আপনার উত্তর পেয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *