মানুষের সামনে ফেরেশতারা পুরুষ রুপে আসে কেন? জেনে নিন

ফেরেশতারা কি মানুষের সাথে দেখা দেয়। ফেরেশতারা তাড়া কেন পুরুষ রূপে হাজির হন। ফেরেশতা আল্লাহতালার বিস্ময়কর সৃষ্টি। আল্লাহর সৃষ্টি জগতের নানা কাজে ফেরেশতাদেরকে নিয়োজিত করেছেন।

মানুষের সামনে ফেরেশতারা পুরুষ রুপে আসে কেন? জেনে নিন

নবী-রাসূলদের কাছে আল্লাহর বার্তা পৌঁছে দেয়ার গুরুদায়িত্ব পালন করেন ফেরেশতারা। সেই হিসেবে নবী-রাসুলদের সঙ্গে ফেরেশতাদের সাক্ষাৎ খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু নবী না হয়েও অনেকে ফেরেশতার সাক্ষাৎ পেয়েছেন তাদের মধ্যে যেমন পুণ্যবান মানুষ রয়েছে। তেমনি রয়েছে পাপিষ্ঠরা ও যেমন সামারিয়াম মুসা আলাই সাল্লাম এর মাজার লুত আলাই সাল্লাম এর সম্প্রদায়ের লোকেরা তার মৃত্যুর সময় প্রত্যেক মানুষ মৃত্যুর ফেরেশতা কে দেখতে পাইনি।

মানুষের সামনে ফেরেশতারা পুরুষ রুপে আসে কেন জেনে নিন

মূল্যবান ব্যক্তির মৃত্যুর সময় ফেরেশতা এসে বলে তোমরা ভয় পেয়ো না চিন্তিত হয়ে ওঠা এবং জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল সূরা ফুসসিলাত আয়াত ৩০ ফেরেশতাদেরকে শুধু মানবাকৃতিতে দেখা যায় না বরং কখনো ভিন্ন আকৃতিতেও আসে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু সূরা বাকারা সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করছিলেন।

ফেরেশতা কিসের তৈরি

এমন সময় তার ঘোড়াটি কয়েকবার ডেকে ওঠে তিনি বের হয়ে আকাশের দিকে তাকালে এবং তিনি মেঘের ভেতর আলোর প্রদীপ দেখতে পান। এই ঘটনা তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললে। তিনি আবারও তাকে তেলাওয়াত করতে বলেন এবং আসমানের দিকে তাকালে তিনি আবারো প্রদীপ সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান এরপর তিনি বলেন তারা একদল ফেরেশতা তোমার তিলাওয়াতের আওয়াজ শোনার জন্য।

পৃথিবীর নিকটবর্তী হচ্ছে যদি তুমি সকাল পর্যন্ত তেলাওয়াত করতে তবে তারা সকাল পর্যন্ত অবস্থান করতো এবং মানুষ তাদের দেখতে পেত তার ভাই 482 একটা প্রশ্ন হচ্ছে ফেরেশতা কেন পুরুষের হাজির হন এর কারণ হচ্ছে বিভিন্ন কাফির এবং মুসিক সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে ফেরেশতারা আল্লাহর কন্যা আল্লাহ তাদের বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত করার জন্য পুরুষ রূপে তাদেরকে প্রেরণ কর।

ফেরেশতাদের কি মৃত্যু হবে

পাপীদের ব্যাপারে বলা হয়েছে যেদিন তারা মৃত্যুর সময় ফেরেশতাদেরকে দেখবে সেদিন বলা হবে আজ অপরাধীদের জন্য। কোনো সুসংবাদ দিয়ে সূরা ফুরকান আয়াত ২২ মানুষের পক্ষে ফেরেশতাদেরকে দেখা সম্ভব তবে ফেরেশতাদের নিজস্ব আকৃতিতে কোনোভাবেই দেখা সম্ভব নয় কারণ ফেরেশতারা আল্লাহর নূর জ্যোতি দ্বারা সৃষ্ট যা মানুষের চোখ সহ্য করার ক্ষমতা রাখেনা।

মুসা আলাই সাল্লাম আল্লাহর দেখে তিনি অচেতন হয়েছেন মুসা আলাই সাল্লাম বললেন হে আমার প্রভু আমাকে ধর্ষণ দিন আমি আপনাকে দেখব তিনি বললেন তুমি আমাকে কখনোই দেখতে পারবে না বরং তুমি পাহাড়ের প্রতি লক্ষ্য করো যদি পাহাড়ে নেতা-নেত্রীর থাকে তবে তুমি আমাকে দেখতে পারবে যখন তার প্রতিপালক পাহাড়ে যদি প্রকাশ করলেন তখন তা পাহাড় কে চূর্ণ-বিচূর্ণ পরল এবং মূসা জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেল সূরা আরাফ আয়াত ১৩৩।

প্রমাণিত হয় মানব চোখে ফেরেশতাদেরকে দেখা সম্ভব নয় তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ জিব্রাইল আলাই সাল্লাম কে একাধিকবার আপন আকৃতিতে দেখেন প্রথমবার দেখার পর তুমিও ভয় পান হাদিসের বর্ণনা এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এমন অবস্থায় ফিরে এলেন তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল।

ফেরেশতাদের কাজ কি

তিনি খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ রাদিয়াল্লাহু জ্বালানোর কাছে এসে বললেন আমাকে চাদরে আবৃত করে তিনি তাকে চাদরে আবৃত করলেন তাতে তার ভয় দূর হয় সহি বুখারি হাদিস নাম্বার ৩৬ আল্লাহ কখনো কখনো মানুষকে শেখানোর জন্য তাদের পরীক্ষা করার জন্য মানুষরূপে ফেরেশতা পাঠিয়েছেন। মানুষের আকৃতিতে মানুষের যেমন ফেরেশতার সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব তেমনি স্বপ্নেও ফেরেশতা সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি স্বপ্নে দেখলাম দুইজন ফেরেশতা মাকে ধরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে গেল সেটি ছিল একটি কুপের মত ভাঁজ করা কত। এবং কুপের মত তাতে দুটি স্তম্ভ ছিল তার ভিতরে মানুষ ছিল আমি তাদেরকে চিনতে পারি আমি বলতে শুরু করি আমি আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই আমি আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই।

ফেরেশতা কাকে বলে

ফেরেশতাদ্বয় অপর এক ফেরেস্তা সঙ্গে তার দেখা করেন তিনি আমাকে বলেন ভয় পেয়ো না এই স্বপ্নের কথা হাফসা রাদিয়াল্লাহু তাড়ানো কেবলই তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন আব্দুল্লাহ কতইনা ভাল মানুষ সহিঃ মুসলিম হাদিস।২৪৭৯ বর্তমান সময়ে ফেরেশতাদের সাক্ষাৎ লাভ করা সম্ভব তবে আলেমরা একমত।

মানুষের সামনে ফেরেশতারা.

যে নবীদের পরে কোন ব্যক্তি ফেরেশতাদেরকে দেখার দাবি করতে পারে না। যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পর কোন নবী আসবেন না। তাই এখন কেউ দাবি করতে পারবে না আমি ফেরেশতার দেখা পেয়েছি পড়লে সে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হবে পবিত্র কোরআন এবং হাদিসের বর্ণনা নবীর।

নন এমন মানুষও ফেরেশতা সাক্ষাতের ঘটনা পাওয়া যায় তার কয়েকটি হল এক মারিয়াম আলাইহিস সাল্লাম ঈসা আলাই সাল্লাম এর মা মারিয়াম আলাইহিস সালাম পুরুষ একজন ফেরেশতা সাক্ষাত পাননি তিনি তাকে সন্তান লাভের সুসংবাদ দেন। তারা আলাই সাল্লাম ইব্রাহিম আলাই সালাম এর স্ত্রীর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন সেই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে।

ফেরেশতা দেখতে কেমন

তার স্ত্রী দাঁড়িয়েছিল সে হেসে ফেললো অতঃপর আমি তাকে ইছাহাকের এবং ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম সে বলল কী আশ্চর্য আমি সন্তান জন্ম দেবো আমি বৃদ্ধা আর এই আমার বৃদ্ধ স্বামী এটি অবশ্যই এক অদ্ভুত ব্যাপার ফেরেশতারা বলল আল্লাহর কাছে তুমি বিস্ময় বোধ করছ কে পরিবারবর্গ তোমাদের উপর রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ তিনি তো প্রশংসা এবং সম্মানের অধিকারী সূরা হুদ আয়াত ৭১ থেকে ৭৩।

লুত আলাই সালাম এর জাতির বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল সমকামিতার মত ব্যাধি সেই সমাজের বিস্তার লাভ করে লুত আলাই সালাম তাদের বিকৃত মানসিকতা ও ভয়াবহ পাপ থেকে বেঁচে থাকার আহ্বান জানায় কিন্তু ক্রমেই তাদের অবাধ দ্রুত বাড়তে থাকে আল্লাহ তাদের ধ্বংস করার জন্য একদল ফেরেশতা প্রেরণ করেন।

ফেরেশতাদের সর্দার কে

তারা সে সুদর্শন পুরুষের আকৃতিতে হলে তারা আগত ফেরেশতাদের উপর হামলে পড়ে 4 সুলাইমান আলাই সাল্লাম এর রাজ্যের অধিবাসী আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুলাইমান আলাইহিস সালামের রাজ্যের অধিবাসীদের পরীক্ষার জন্য হারুত মারুত নামে দুইজন ফেরেশতা পাঠান মানুষের আকৃতিতে তারা সেখানে অবস্থান করে 5 বনি ইসরাইলের তিন ব্যক্তির যারা অন্ধকার বিশিষ্ট ও কুষ্ঠ রোগী ছিল আল্লাহ তাদের পরীক্ষার জন্য ফেরেশতা পাঠান এবং তাদের মাধ্যমে তাদের রোগমুক্ত করেন তবে পরবর্তী সময়ে তারা তা ভুলে যান সহি বুখারি হাদিস ২৭৭।

সুপ্রিয় দর্শক, এই ছিল আমাদের আজকের পোস্ট। পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন। আর নিয়মিত আমাদের পোস্ট পেতে কমেন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *