বাণিজ্যমন্ত্রী আরও জানান, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় স্থানীয় জনসংখ্যা ও দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনায় রেখে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এক কোটি পরিবার টিসিবির পণ্য পাওয়ায় এতে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। তিনি বলেন, বিতরণের আগের দিন সংশ্লিষ্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পণ্য বিক্রির স্থান ও সময় জানানো হবে।
ফ্যামিলি কার্ডে যে সব পণ্য থাকবে
সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত প্রতিটি পরিবারের জন্য ১১০ টাকা দামে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা দামে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা দামে ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫০ টাকা দামে ২ কেজি ছোলা থাকবে। বাণিজ্যমন্ত্রী এসব পণ্য দেশব্যাপী সুষ্ঠুভাবে বিক্রির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন। সঠিক ভাবে টিসিবির পণ্য বিতরণের বিষয়ে গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, প্রতিটি নিম্ন আয়ের মানুষ যেন টিসিবির এসব পণ্য পান, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে সরকার। তিনি জানান, মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রীর আরো বলেন যারা টিসিবির কার্ড করেননি তাদের জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বর্তমানে পর্যাপ্ত মজুত আছে। তিনি উল্লেখ করেন তাই পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের কোনো সংকট হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরো গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফ হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।