আসসালামুয়ালিকুম, আজকে আপনাদের জানাব রমজান মাসে যেভাবে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে, জেনে নিন। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন রোজা রেখে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা হারাম। হে তবে কিছু কারণবশত আপনি স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে পারবেন।
রোজার রেখে কি স্ত্রী সাথে সহবাস করা যাবে? জেনে নিন
কোরআনের মধ্যে আল্লাহতালা স্পষ্ট করেছেন, কেউ যদি রোজা রেখে সহবাস করে তাহলে তার রোযা বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং রোজার কাফফারা দিতে হবে। আরেকটি রোজার কাফফারা হলো একটি গোলাম আজাদ করা বা লাগাতার দুই মাস রোজা রাখা অথবা গরিব-মিসকিনদের খাবার খাওয়ানো তাই রোজা রেখে এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা উচিত।
যারা তারা রোজা ভেঙ্গে যায় মহান আল্লাহতালা আরো বলেছেন রোজা কাদের তোমাদের জন্য স্ত্রীর সম্ভব হালাল করা হয়েছে কুরআনুল কারীম দুই নম্বর ৮৭ নম্বর আয়াত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর নিকট বসে ছিলাম এমন সময় তার নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল আল্লাহ রাসুল আমি ধ্বংস হয়ে গেছি তিনি বললেন। তোমাকে কিসে ধ্বংস করে ফেলল সে বলল রোজা অবস্থায় আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলেছি।
রোজা রেখে দিনে বেলায় স্ত্রী সহবাস
রাসুল সাঃ বললেন কোন দাস আছে যাকে তুমি স্বাধীন করে দেবে সে বলল না তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বললেন দুই মাস ধারাবাহিক রোজা রাখতে পারবে সে বলল না তারপর রাসুল সাঃ বললেন একজন মিসকিনের খাদ্য খাওয়াতে পারবে সে বলল না নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম একটু অপেক্ষা করলেন। অতঃপর একপাত্রে খেজুর নিয়ে এসে বলেন প্রশ্নকারী কোথায় সে বলল আমি এখানে নবী সাঃ বললেন এটা নাও এবং তার সাদা করে দাও।
সে বলল আমার থেকে বেশি দরিদ্র কি আর আছে আল্লাহ রাসূল আল্লাহর কসম এই দুই পাহাড়ের মাঝে আমার চেয়েও অধিক দরিদ্র বারী আর নেই এ আসনে নবী সাঃ হেসে দিলেন এমনকি তার যাদের দাঁত প্রকাশ পেল তারপর বললেন তোমার পরিবারকে খাইয়ে দিও বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ১৯৩৬ বাই মুসলিম সিয়াম অধ্যায় নম্বর ১১১১ মূল আলোচনায় ফেরা যাক প্রশ্ন হচ্ছে রমজান মাসে যেভাবে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে।
প্রথমত আপনি রোজা থাকা অবস্থায় কখন স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে পারবেন না যদি আপনি মুসাফির হয়ে থাকেন এবং সফরে থাকা অবস্থায় রোজা রেখে সে যদি তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে আর সেই দিনেই তার স্ত্রীর মাসিক থেকে পবিত্র হয়েছে তাহলে তারও গুনাহ হবে না অবশ্য তাকে পরবর্তীতে রোযা কাযা করতে হবে তাহলে তার জন্য কেবল কা যাবো আজীবন কাফফারা ওয়াজিব নয়।
সাধারন ভাবে চুমু খেতে পারেন
যেমনি ভাবে ওই দিনের বাকি অংশ পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা ও তার জন্য জরুরী নয় কেননা সে মুসাফির আর মুসাফিরের জন্য সফরে রোজা ভাঙ্গা এবং পরে কাযা করা বৈধ আসাদুল মূর্তি 6417 আবার কোন মুসাফির যদি দিন থাকা অবস্থায় রোজা না রেখে ঘরে ফিরে দেখে যে তার স্ত্রীর সেইদিন এই মাঠ থেকে পবিত্র হয়েছে তাহলে সঠিক মতে তাদের জন্য সঙ্গম বৈধ এতে স্বামী স্ত্রীর কোন প্রকার পাপ হবে না।
যেহেতু ঐদিন শরীয়তের অনুমতিক্রমে তাদের জন্য নয় এবং ওই দিনে রোযা না রাখা ও তাদের পক্ষে অনুমোদিত আহসানুল মুক্তির 6 421 অনুরূপভাবে এমন রোগের রোগের জন্য রোজা ভাঙ্গা বৈধ ছিল কিন্তু কষ্ট করে এসে রোজা রেখেছিল সে যদি তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে আর সেই দিনেই তার স্ত্রীর মাসিক থেকে পবিত্র হয়েছে তাহলে তারও গুনা হবে না অবশ্য তাকে পরবর্তীতে রোযা কাযা করতে হবে।
রোজা রেখে স্ত্রীর সাথে সহবাস
আসাদুল মূর্তি ৬৪১৭ আবার যদি কোন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় রোজা রেখে স্ত্রীর সাথে সহবাস করে এবং ঋণ থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এতটাই অসুস্থ যে তার পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব হচ্ছে না তখন তার জন্য রোজা ভাঙ্গা বৈধ কিন্তু তার জন্য কাফফারা ওয়াজিব কারন স্ত্রীর সাথে সহবাসের সময় সে রোজাদার অবস্থায় ছিল আর স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে জোরপূর্বক সহবাস করতে চায়।
তাহলে তার জন্য যথাসাধ্য তা প্রতিহত করা জরুরী রুখতে না পারলে তার ওপর কাফফারা ওয়াজিব নয় আর যদি সম্মতি থাকে তাহলে উভয়ের উপর কাফফারা ওয়াজিব যদি রোজা অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে সহবাস ব্যতীত জমা দেয় বা আলিঙ্গন করে তবে তা জায়েয এতে কোনো অসুবিধা হয় না কেননা নবী করিম সাঃ রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন পড়তেন আলিঙ্গন করতেন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু।
স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম
রোজা অবস্থায় চুমু দিতেন এবং আলিঙ্গন করতেন কিন্তু আপন চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অধিকারী বুখারী ১৮৪১ মুসলিম ১১২১ তবে এতে জ্যোতি সহবাসে লিপ্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে তবে তার মাফ হবে আর চুম্বন আলিঙ্গন এর কারণে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তবে দিনের বাকি অংশ সাউন্ড অবস্থায় থেকে পড়ে শ্রমের কাযা আদায় করবে কাফফারা আদায় করতে হবে না।
তবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করে তাহলে অবশ্যই তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে চুমু বা লিঙ্গ নির্ধারণের যদি বীর্য বের হয় তবে এতে রোজার কোন ক্ষতি করে না এটা অধিকতর বিশুদ্ধ মত রোজাদারের জন্য সে যুবক বৃদ্ধ স্ত্রীকে চুমু দেওয়া এবং আলিঙ্গন করা জায়েজ যদি যৌন ধারণার বশবর্তী হয়ে সহবাসে লিপ্ত বা বিরজোপাতহবেনা বলে নিজের উপর দৃঢ় অবস্থান থাকে স্ত্রী সহবাস অবশ্যই রোজা ভঙ্গ কারি।