সন্তানের পড়ালেখার ব্যাপার যে ভুল গুলো কখনো করবেন না

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মা-বাবা চান  সন্তানের মাঝে পড়ালেখার আগ্রহ তৈরি হোক ।এ বিষয়ে আমি বলবো ভুলেও জোর করে সন্তানের মাঝে লেখা পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে যাবেন না। এখন অনেকে বলতে পারেন মা-বাবা যদি সন্তানের মাঝে লেখাপড়ায় আগ্রহ তৈরি না করে , তাহলে তারা কি করবে?

সন্তানের পড়ালেখার ব্যাপার যে ভুল গুলো কখনো করবেন না

আসলে প্রত্যেক পিতা-মাতা যেন তাদের সন্তান লেখাপড়া করে  জীবনের সাফল্য অর্জন করে।  পাশাপাশি বাবা মারা এটাও বুঝেন যে জীবনে সফল হওয়ার জন্য লেখাপড়ায় সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ উপায়। এ কারণে ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়েরা জোর করে হলেও সন্তানকে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী করতে চান ।

সন্তানের পড়ালেখার ব্যাপার যে ভুল গুলো কখনো করবেন না (1)

 

প্রকৃতপক্ষে যারা জোর করে বাচ্চাকে লেখাপড়ায় আগ্রহী করতে চান।  তাদের বেশিরভাগই কিন্তু সফল হন না। পিতা-মাতা যদি ভেবে থাকেন যে আপনারা চাইলেই নিজ সন্তানকে কোন একটি বিষয়ের উপর আগ্রহী করে তুলতে পারবেন। সেটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা বিষয়টি একটা উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদের বোঝানো যাক।

আপনার সন্তান কার সাথে চলাফেরা করে

আপনাদের নিজ সন্তানকে একটা নিজের মতো করে চলতে দিতে হবে। আপনারা যখন একটি বীজ রোপন করেন তখন আপনারা কি করেন। সেটি কে রোপণের পর একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।  ফল হওয়ার জন্য এখন যদি আপনি আজ বীজ রোপন করে কালি অপেক্ষা করতে থাকেন।

তাৎক্ষণিকভাবে ফল পেতে নানান রকম ইনজেকশন লাগানো শুরু করেন । তাহলে কিন্তু আপনি সফল হবেন না। এটি করে আপনি বীজ  থেকে ফল তো পাবেনই না । উল্টো আপনি বৃষ্টির মত অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলবে। যেসব বাবা মারা ছোট বাচ্চাদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী করতে খুবই কঠোর আচরণ করেন ।

তাঁদের ভোটটা মূলত এই জায়গাতেই তারাবির ইনজেকশন দিয়ে ফেলেন। অর্থাৎ বাচ্চাকে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী করতে গিয়ে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলেন। মানসিকভাবে তাদের উপর টর্চার করে। এখন অনেক মা-বাবা প্রশ্ন করতে পারেন যে, তাহলে তাদের করণীয় কি?

বাবা মাই সন্তানকে নির্যাতন করেন সবচেয়ে বেশী

মা-বাবা এই পরিস্থিতিতে কি করবেন? সেই প্রশ্নের উত্তর দাও । আমাদের একটু আগের উদাহরণ এর মাঝে লুকিয়ে আছে।  বীজ বপনের পর তা থেকে চারা বেরিয়ে আসলে বাগানের মালি সে  চারার খুব যত্ন নেন । ঠিক তেমনি মা-বাবা কেউ তাদের সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। ফল আসার আগে মালিক যেভাবে চারার দেখভাল করেন ।

মা-বাবাকেও ঠিক সেভাবেই নিজের সন্তানকে গাছের মতো দেখভাল করে গড়ে তুলতে হবে একটি বাগানে । যদি একজন ভালো এবং দক্ষ মালি থাকে যে কিনা গাছের ভালো পরিচর্যা করতে সক্ষম হবে । নিশ্চিত থাকুন সেই বাগান ফুলে ভরে যায় ।পক্ষান্তরে কোন বাগানের মালি যদি বানানো হয়।

সে শেষ পর্যন্ত ওই বাগানের সর্বনাশ করে ছেড়ে । আমাদের বাবা-মা ঠিক এভাবেই নিজের অজ্ঞতার কারণে সন্তান সর্বনাশ করে। তার পিতা-মাতা হিসেবে খুবই আন্তরিক এবং সন্তানকে অনেক ভালোবাসার পরেও শুধুমাত্র নিজের জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে আমরা বাচ্চাদের ক্ষতি করে ফেলি ।

সঠিক জায়গায় সঠিক লোকের মূল্যায়ন করার মতো যোগ্যতা থাকতে হয়

প্রিয়  পাঠক আপনারা যারা যারা নিজের সন্তানকে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী করতে চান । তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি জন্মের সময়ই আল্লাহ তাআলা আপনার সন্তানের মাঝে কুদরতীভাবে জানার আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছেন। রুহ শিখার আগ্রহ এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি ।

তাহলে জানার আগ্রহ যদি সহজাত প্রবৃত্তি হয়েই থাকে । জন্মগত ভাবে হয়ে থাকে তাহলে অনেক বাচ্চারা কেন লেখাপড়া করতে আগ্রহী না। এর জন্য মূলত আমরাই দায়ী। আমরা পড়ালেখাটা কি ইনজেকশন বানিয়ে প্রতিদিন পোস্ট করছিলাম। বাচ্চাদের ব্যথার কারণ হচ্ছিল এখন আপনার দায়িত্ব হলো আপনার সন্তানকে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দাওয়া।

তাদেরকে ন্যাচারাল গ্লো করতে হবে। সন্তানের জন্য কিভাবে সেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন?  তার সম্পর্কে আজ আমি আপনাদের  কিছু টিপস বলবো । অনুযায়ী যদি আপনি কাজ করেন, তাহলে দেখবেন আপনার সন্তানের মাঝে আল্লাহ জিৎ জানার আগ্রহ জন্মগত ভাবে তৈরি করে দিয়েছেন ।

শিশুর মানসিক বিকাশ – শিশুর যত্ন

সেটি বিকশিত হতে থাকবে ইনশাআল্লাহ লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ এবং অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি সেও খুব ভালো করছে।  আপনার সন্তানের লখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে চাইলে আপনাকে ও নিজের সন্তানের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে হবে । আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন যে সূর্যের আলো সবকিছুর উপরে পড়ে, তবে সেই আলো কিন্তু কখনো কোন কাগজ।

আপনার সন্তান আগ্রহ দেখায় এবং জোর করে পড়তে বসে। আলী ও অমনোযোগী থাকে বিকেল হচ্ছে বাচ্চারা পড়ালেখা করার সময় মোবাইল এবং টিভির জাতীয় ডিভাইস এবং যাবতীয় স্ক্রিন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিন । কারণ সেগুলো চালু থাকলে বাচ্চার মনোযোগ সেদিকে ভাগ হয়ে যাবে ।অর্থাৎ সে লেখাপড়ার প্রতি পুরোপুরি মনোযোগী থাকবে।

যেভাবে একটি চারা গাছ লাগানোর পর সেটিকে কীটপতঙ্গ গরু-ছাগল থেকে হেফাজত করতে হয় । ঠিক একই ভাবে আপনার সন্তানকে ও পড়াশোনার সময় সব ধরনের মনোযোগ নষ্টকারী বিষয় থেকে হেফাজত করুন। বাচ্চাদেরকে পড়াশোনা শেখার আগেই তাদের ভাষা শেখাতে হবে ।

মেয়েদের প্রতি  বৈষম্য

একই ঘরে যদি একাধিক বাচ্চা থাকে এবং পড়াশুনার সময় যদি আপনি সকলকে একত্রিত করে বসিয়ে। অন্য কোথাও চলে যান তাহলে তারা কখনোই পড়ালেখা করবে না। একে অপরকে বিরক্ত করায় ব্যস্ত থাকবে। আপনি শুধুমাত্র তখনই তাদের একত্রে বসাবেন যখন আপনি সেখানে থাকবেন ।আপনাকে উপস্থিত থাকতে হবে ।

sontan

কন্ট্রোল করার চেষ্টা করুন যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করুন। উচ্চ শব্দ পরিহার করার জন্য বাচ্চারা পড়ালেখা করার সময় কথা বলা বা আওয়াজ করা এবং ধমক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। শান্ত পরিবেশে বাচ্চারা লেখাপড়ায় মনোযোগী বেশি হয় । এছাড়াও বাচ্চার সাথে যখন নিজের চুপচাপ থাকবেন তখন আপনার দেখাদেখি তারাও চুপচাপ থাকতে শিখবে।

দুর্বল বাচ্চার মা খুব উচ্চ স্বরে চিৎকার চেঁচামেচি করে বাচ্চাকে থামানোর চেষ্টা করি এবারও কিন্তু ছোটবেলা থেকেই চিৎকার চেঁচামেচির অভ্যেসটা রক্তকণিকার হচ্ছে । বাচ্চাদেরকে একটানা পড়াশোনায় বসিয়ে নাকি কি তাদের একটু পরপর বিরু্তি দিন।

বাচ্ছাদের সাতে মানসিক নির্যাতন

মনে রাখবেন১০ বছরের নিচে বাচ্চাদের কি সর্বোচ্চ৩০ মিনিটের বেশী একটা না আপনি টেবিলের উপর বসিয়ে রাখবেন । পুরো ৩০মিনিট পরপর বিরোতি ব্যায়াম করতে পারে বা কিছু কেউ নিতে পারে। প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর এমন বিরতি দেওয়া যেতে পারে। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে এ ধরনের বিরতি দেওয়া হলে বাচ্চার কাছে পড়াশোনা  ভাল হয়।

ভাল থাকবেন আল্লাহ হাফেয

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *