সাবমারসিবল পাম্প কিভাবে কাজ করে

প্রযুক্তির বদৌলতে বর্তমানে মানুষের কষ্ট অনেকটাই কমে গিয়েছে। শুধু যে কষ্ট কমেছে তা নয়, আগে যেখানে কোন একটি কাজ করে দিনের পর দিন সময় লাগত, এখন আমরা এই প্রযুক্তির বদৌলতে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন করতে পারি। এমন একটি কঠিন কাজ হল পানি উত্তোলন করা। এটা হতে পারে ভূগর্ভস্থ পানি অথবা কৃষিকার্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পানি উত্তোলনের জন্য। তবে বর্তমান সময়ে পানি উত্তোলনের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি সাবমারসিবল পাম্প।

সাবমারসিবল পাম্প কিভাবে কাজ করে

সাবমারসিবল পাম্প অল্প সময়ে প্রচুর পানি পাম্প করতে সক্ষম। সাধারণত নরমাল পাম্পের মাধ্যমে পানি পাম্প করা হয়। বিপরীতে অধিক কার্যকরীভাবে প্রচন্ড শক্তির সাথে পানি পাম্প করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সাবমারসিবল পাম্প এর আরো অনেক সুযোগ সুবিধা আছে, তা একটু পরই সবকিছু জানতে পারবো। সাবমারসিবল অসাধারণ পাম্পের মেকানিজম সেম টু সেম। পাম্প কিভাবে কাজ করে এর মূল মেকানিজম কি সেটাই বলার চেষ্টা করবা

হাজার ৯০০ শতকের আগেও মানুষ পানি পান করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করত যা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। ভূগর্ভস্থ পানি তোলার জন্য মানুষ বড় বড় গর্ত করে থাকতো, যেখানে পানি এসে জমা হতো এবং তা মানুষ কোন বস্তুর মাধ্যমে টেনে উপরে তুলে থাকত। তারপর ৮৭০ সালের দিকে হ্যান্ডসাম আবিষ্কার হয়, যার মাধ্যমে মানুষ অতি সহজে পানি উত্তোলন করতে সক্ষম হয়।

যদিও ষোল শতকের দিকে সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প আবিষ্কার হয়েছিল কিন্তু তখনও কোন প্রকার ইঞ্জিন অথবা ইলেকট্রিক মোটর আবিষ্কার না হওয়ার কারণে তা কার্যকরী ছিলনা। হাজার ৮০০ শতকের শেষ দিকে যখন ইঞ্জিন আবিষ্কার হয়ে যায় সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প আমূল পরিবর্তন হয়। বর্তমান সময়ে যতপ্রকার পানির পাম্প আছে সবগুলো সেন্টার বিকল্প পদ্ধতিতে কাজ করে ইনকাম করার জন্য মূল হাতিয়ার।

পানির কণার মধ্যে সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স কেন্দ্রবিমুখী বল প্রদান করে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এখন প্রশ্ন হল কেন্দ্রবিমুখী বল কি? একটি উদাহরণ দেখে আসি তাহলে, একটি বল যার মাধ্যমে বাঁধা অবস্থায় রয়েছে একে কেন্দ্র করে ঘুরছে। ঘূর্ণনের ফলে বলের মধ্যে একটি শক্তি উৎপন্ন হয়েছে যে কারণে ভোল্টি কেন্দ্র থেকে দূরে সরে যেতে চাই তবে বিপরীতে শক্তি উৎপন্ন হয়েছে।

সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প কাকে বলে

যে কারণে কেন্দ্র থেকে দূরে চলে যাওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে এর মধ্যে শক্তি উৎপন্ন হয়েছে এই শক্তিকে বলা হয় সেন্ট্রাল ফোর্স কেন্দ্রবিমুখী বল। এখানে দেখতে পাচ্ছেন ইম্প্লাইড গুলো কেন্দ্র থেকে যত দূর এগিয়েছে একটি অপরটির থেকে দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘড়ির বিপরীত দিকে ঘুরে পানির কণাগুলো দূরত্ব সময়ের সাথে বৃদ্ধি পায় দূরে সরে যায়। তার মানে পানির মধ্যে কেন্দ্রবিমুখী বল উৎপন্ন হয় গুলো প্রতিনিয়ত কেন্দ্রে পানির দূরে সরিয়ে দেওয়ার কারণে। বাহিরের দিকে পানির প্রেসার বৃদ্ধি পায় তাকে খুঁজতে থাকে শুধুমাত্র একদিকে রাস্তা থাকে এবং ওই রাস্তা দিয়ে পানি সরাসরি বাইরে বের হয়ে যায়।

ইন্টারনাল স্পিড বৃদ্ধি করা হবে। পানির প্রেসার উচ্চতা বৃদ্ধিতে প্রচুর পানির পাম্প হবে। সেহেতু কেন্দ্রের মধ্যে একটি নেগেটিভ প্রেসার নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়, নিম্নচাপের কারনে পানি প্রতিনিয়ত ভিতরে প্রবেশ করে দেওয়ার সাথে সাথে এর ভিতরে পানি প্রবেশ করেছে। এখানে কিন্তু আমি শুধুমাত্র ফিতান দিয়েছি পানিকে না উপরের দিকে তোলার কারণে ফ্রিজের ভিতর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়।

তখন সে নিজের ভিতর সৃষ্টি হওয়ার নিম্নচাপ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চাপ সমতা করার জন্য। যে কারণে সিরিজের সামনে থাকা সকল পানির ভিতরে প্রবেশ করে। পানি এর সামনে যদি না থাকতো তবে বাতাস প্রবেশ করত।

সেম জিনিসটি সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প সংঘটিত হয়। ব্লেডের ঘূর্ণনের ফলে কেন্দ্রের নিম্নচাপের এবং বাহিরের দিকে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রের দিকে পানি প্রবেশ করে এবং বাহিরের দিকে পানি ছিটকে দূরে সরে যায়। তবে বিপরীত কাজটি সম্পন্ন হবে হয়তো চারদিকের পানিকে কেন্দ্রীভূত করে এক জায়গায় এনে জমা করবে। আমাদের উদ্দেশ্য কার্যকরীভাবে হাসিল করতে পারবে না।

সাবমারসিবল পাম্প এর দাম

আমাদের প্রয়োজন কেন্দ্রবিমুখী বল ডিজাইন ঘরের বিপরীত দিকে থাকে। আপনার মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে ইম্পেলার যদি ঘড়ি বিপরীত দিকে ঘুরে তবে কি ইঞ্জিনীর বিপরীত দিকে ঘুরে। উত্তরটি হলো অবশ্যই না। সব সময় ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরে আসলে কি জিনিস দিকে ঘুরছে নাকি কাটার দিকে ঘুরছে তা নির্ভর করে আপনার প্রয়োজনের উপর।

একটি বস্তু কোনদিকে ঘুরছে তা বোঝার জন্য আপনাকে অবশ্যই বস্তুটির পিছনে যেতে হবে। এ কাজটি সম্পন্ন হয়েছে আমি পিছনের দিক দেখতে পাচ্ছি তাই মনে হচ্ছে এটি ঘড়ি বিপরীত দিকে ঘুরছে। এখন সাবমারসিবল পাম্প এর মূল ডিজাইন দেখে আসি। এটি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত এই অংশটি হলো মোটর এবং এই অংশটি অনেকগুলো ইম্পেলার এর সমাহার। সবগুলো ইম্পেলার একটি মাত্র শেয়ারের মাধ্যমে মোটর এর সাথে যুক্ত থাকে।

যখন ঘুরতে শুরু করে কেন্দ্রমুখী বলের কারণে পানির কণাগুলো গাণিতিক এনার্জি এবং প্রেসার এনার্জি অর্ডার করে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এখন আমাদের প্রয়োজন এই আউটলেট প্রাণীগুলোকে দক্ষতার সাথে পরবর্তী এলাকায় পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। ডিফিউজার পানি প্রবাহের দিক পরিবর্তন করার জন্য ডিফিউজার কি স্থির রাখতে হয়। তাই এটি উপরের কিসের সাথে যুক্ত থাকে আপনি দেখতে পাচ্ছেন।

কতগুলো ছিদ্র রয়েছে যেগুলো দিয়ে পানি পরবর্তী দিকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। যেগুলোর মাধ্যমে পুনরায় কেন্দ্রীভূত হয় এখানে পানিকে কেন্দ্রীভূত করার প্রয়োজন। পরবর্তী ইম্পেলার প্রবেশ করার জন্য। কারণ আমরা এতক্ষন দেখেছি প্রত্যেকটি কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত করে। অর্থাৎ কেন্দ্রের পানিকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। এরকম অনেকগুলো ইউজারের তাকে প্রত্যেকটি স্তরের বৃদ্ধি পায়।

যেখানে প্রচন্ড শক্তির সাথে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়া যায়। একটি সাবমার্সিবল পাম্পে যত বেশি ব্যবহার করা হয় শক্তি বৃদ্ধি পায়। চেকবাল্ব স্প্রিং এর মাধ্যমে পানি প্রবাহের রাস্তা বন্ধ করে রাখে। এটি একটি একমুখী বালগুলো অতিক্রম করে পানি যখন ভালো ভাবে ধাক্কা দেয় তার গন্তব্যের দিকে চলে।

পানির পাম্প কিভাবে কাজ করে

কিন্তু বাহির থেকে যদি কোন সময় পানির চাপ বৃদ্ধি পায় সেই পানি কখনও মোটরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যেমনটি এখানে দেখতে পাচ্ছেন পানি এদিকে প্রবাহের সমান হয়ে গিয়েছে কিন্তু পানি যখন বিপরীত দিকে আসার চেষ্টা করে বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে সাবমারসিবল পাম্প আরো কার্যকরভাবে একটি নির্দিষ্ট প্রেসার বজায় রাখে অনেক উপরে পানি উত্তোলন করতে পারেন। এজন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ক্ষেত্রে বর্তমানে সাবমারসিবল পাম্প সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সাবমারসিবল পাম্প মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত পাইপের ভিতর থাকা পানির মধ্যে নিমজ্জিত থাকে। তাই কখনো পানির সংকট দেখা দেয় না। আমরা ইতিমধ্যে ইন্ডাকশন মোটর এর সাথে যুক্ত থাকে বা কয়লা বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া হয়। যা সিঙ্গেল ফেজ অথবা ডাবল ফেজ হতে পারে আবার নাও হতে পারে।

দেওয়ার কারণে কয়লার মধ্যে ঘূর্ণায়মান ম্যাগনেটিক উৎপন্ন হয় ফলশ্রুতিতে ঘুরতে শুরু করেন এর সাথেযুক্ত থাকায় এগুলো ঘুরতে শুরু করে। ইন্ডাকশন মোটর চলাকালীন সময় প্রচন্ড গরম হয়ে যায় তাই মোটর এর সবচেয়ে নিচে থাকে একটি ছোট্ট ইম্পেলার। নিশ্চিত করে মটরের কয়েলের চারদিকে পানি প্রবাহের ইঞ্জিনে ভিতরে অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে বাধা প্রদান করে। যদি ইন্ডাকশন মোটর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমার তৃপ্ত ইন্ডাকশন মোটর কিভাবে কাজ করে চালু হয় এদিক দিয়ে পানি প্রবেশ করে এবং প্রত্যেকটি স্টেক অতিক্রম করে প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে বের হয়।

সাবমারসিবল পাম্প এর আরেকটি বড় সুবিধা হলো এটি যেহেতু সম্পূর্ণরূপে পানিতে নিমজ্জিত থাকে। তাই এখানে ক্যাপিটেশন এর কোন প্রবলেম হয় না। অর্থাৎ পাম্প চলাকালীন সময়ে কোন বৃষ্টি হয় না যদি এই বুদবুদ সৃষ্টি হয় তার মানে লাভার ভিতর বাতাস প্রবেশ করবে তখন প্রেসার কমে যাবে।

সাবমারসিবল পাম্প কিভাবে কাজ করে