সুলাইমান (আ.) অলৌকিক কাহিনী এবং জাদুর আংটি ও সিংহাসনের

সুলাইমান আলাইহিস সালামের জাদুর আংটি সিংহাসনের অলৌকিক কাহিনী। নবী হযরত সুলাইমান আলাই সাল্লাম দাউদ আলাই সালাম এর পুত্র। আল্লাহ তাআলা তাকে নবুওয়াত জ্ঞান প্রজ্ঞা ও তার পিতার রাজত্বের স্থলাভিষিক্ত করাচ্ছেন।

সুলাইমান (আ.) অলৌকিক কাহিনী এবং জাদুর আংটি ও সিংহাসনের

মহান আল্লাহ তাকে এমন কিছু নেয়ামত দান করেছেন, যা অন্য নবীকে দান করা হয়নি। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন আমি দাউদ এর জন্য সোলায়মানকে দান করেছিলাম। সে কতইনা উত্তম বান্দা। অবশেষে ছিল আমার প্রতিশোধ প্রত্যাবর্তনশীল। সূরা সব আয়াত ৩০। আল্লাহ তাআলা বলেন আমি সোলেমান আলাই সাল্লাম এর পরীক্ষা দিয়েছিলাম এবং তাঁর সিংহাসন এর উপর একটি দেহ নিক্ষেপ পড়েছিলাম অর্থাৎ শয়তানকে।

সুলাইমান (আ.) অলৌকিক কাহিনী

ওই শয়তানের নাম ছিল শহর কিংবা হাকিক। হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন হযরত সুলাইমান আলাই সালাম এর .১০০ জন স্ত্রী ছিল। তাদের মধ্যে একজনের উপর তার খুবই বিশ্বাস ও আস্থা ছিল। যার নাম ছিল যারাদা।  যখনই তিনি অপবিত্র পাকিতিক প্রয়োজন পুরো করতে যেতেন তখন এই আংটি তিনি তার স্ত্রীর কাছে রেখে যেতেন।

সুলাইমান আলাইহিস সালামের ঘটনা

একদিন তিনি আংটিটা তার স্ত্রীর কাছে রেখে তিনি শৌচ কার্য গিয়েছিল। পিছন থেকে কি শয়তান তার রূপ ধরে এসে তার স্ত্রীর কাছে আংটিটা তাই তিনি তাকে তা দিয়ে দেন শয়তান আংটিটা নিয়েই হযরত সুলাইমান আলাই সালাম এর সিংহাসনে বসে পড়ে। তখন হযরত সুলাইমান আলাই সাল্লাম সূর্য থেকে পৃথিবীর কাছ থেকে আংটিটা চাইলে তিনি বলেন এখনই তো আপনি  নিয়ে গেলেন।

কথা শুনে হযরত সুলাইমান আলাই সাল্লাম বুঝে ফেললেন যেটা তার উপর আল্লাহতালার পরীক্ষা সুতরাং তিনি অত্যন্ত হতবুদ্ধি পরিহিত অবস্থায় প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে পড়লেন শয়তান 40 দিন পর্যন্ত শাসনকার্য পরিচালনা করে কিন্তু হুকুমের পরিবর্তন দেখে আলেমগণ হযরত সুলাইমান আলাই সাল্লাম এর স্ত্রীদের নিকট আসলেন এবং তাদেরকে বললেন কি ব্যাপার কি হযরত সুলাইমান আলাই সাল্লাম এর সম্পর্কে আমরা সন্ধির মধ্যে পতিত হয়েছি যদি প্রকৃত সোলাইমান হন তবে বুঝতে।

আল্লাহ তায়ালা কাকে ও কেন হাওয়াই সিংহাসন দান করেছিলেন

হবে তার জ্ঞান লোপ পেয়েছে অথবা তিনি হযরত সুলাইমান আলাই সাল্লাম নন তিনি প্রকৃত সুলাইমান আলাই সাল্লাম হলে কখনো এইরূপ শরীয়তবিরোধী হাজারী করতেন না তাদের এই কথা শুনে তার স্ত্রী দেখাতে লাগবেনা ওই আলিমগণ সেখান থেকে ফিরে এসে সিংহাসনের চারিদিকে ওই শয়তান কে ঘিরে বসে পড়লেন এবং তাওরাত খুলে পরতে শুরু করলেন।

আল্লাহর কালাম শুনে ওই শয়তান সেই সময় পালিয়ে গেল এবং ওই আংটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করল অতঃপর আংটি একটি মাছ গিলে ফেলল হযরত সোলেমান আলাই সাল্লাম তার ওই অবস্থাতেই কালাতিপাত করছিলেন একদিন তিনি সমুদ্রের ধারে গমন করলেন তিনি ক্ষুধার জ্বালায় কাতর হয়ে পড়েছিলেন জেলেদেরকে মাছ ধরতে দেখে তিনি তাদের কাছে একটি মাফ চাইলেন এবং নিজের নাম বললেন।

সুলাইমান আঃ এর জীবনী

তাকে তার নাম বলতে শুনি জেলেদের একজন ভীষণ রাগান্বিত হয় এবং বলে দেখো এই লোক ভিক্ষা চাচ্ছে আবার বলছে সোলায়মান এই বলে সে মারতে মারতে তাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিত. আহত হয়ে ৩ সমুদ্রের কিনারায় গিয়ে নিজের ক্ষত স্থানে রক্ত দেখতে লাগলেন জেলেদের কারও কারও মনে দয়া হতো তারা বলল কেন তুমি ভিক্ষুক বেচারাকে মারচো যাও মাধুরী তাকে দিয়ে সে ক্ষুধার্থ দেখাবে সুতরাং দুটো মাত্রা সোলায়মানকে দিল মাছ দুটো পেয়ে তিনি রক্ত এবং রকমের কথা ভুলে গেলেন।

সুলাইমান (আ.) অলৌকিক কাহিনী

এবং তাড়াতাড়ি মাছ কাটতে বসছেন আল্লাহর কি মহিমা মাছের পেটে আংটি পেয়ে গেলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এবং আঙ্গুলে আংটি পড়িয়ে দিলেন। তৎক্ষণাৎ পক্ষীকুলের সে তাকে ছায়া করল এবং এই লোক গুলো তাকে চিনে ফেলল এবং তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছে সেজন্য তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করল তিনি বললেন।

হযরত সুলায়মান আঃ এর যেসব গুণ

এই সবই আল্লাহর কাছে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার উপরে এক পরীক্ষার্থী ছিল অতঃপর তিনি গিয়ে সিংহাসনে বসলেন এবং নির্দেশ দিলেন ওই শয়তান কে দেখেন এই পাও সেখান থেকে ধরে এনে বন্দি করে দাও। ব্রণ থেকে বন্দি করে দেয়া হলো তিনি থেকে লোহার একটি সিন্দুকে ভরে তাতে তালা লাগিয়ে দিয়ে তারপরে মহর মেরে  দিলেন অতঃপর সিন্দুকের সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হলো।

সে কেয়ামত পর্যন্ত সেখানেই বন্দি থাকবে তার নাম ছিল হাকিক এটাই কোরআনের এই আয়াতের ব্যাখ্যা সুপ্রিয় দর্শক এই ছিল আমাদের আজকের ভিডিও ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক দিন আর নিয়মিত আমাদের পোস্ট  পেতে এখনই আমাদের সাইট এ কমেন্ট করে পাশে থাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *