১২ বছরের এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ ও গলা কেটে হত্যা করা হয় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। র্যাব এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত স্কুলছাত্রীর সহপাঠী ও এলাকার লোকজন ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে আজ রোববার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
এই হত্যা মামলা দায়িত্বরত র্যাবের অফিসার জানিয়েছে, স্কুলছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় হাট শ্রীকোল গ্রামের ফজলু শেখের ছেলে হাসান শেখকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে শ্রীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত হাসান শেখ।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম নাজিউর রহমান র্যাব-৬–এর যশোরের কোম্পানি কমান্ডার বলেন, হাসান শেখ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমার নদের চরে মেয়েটিকে একা পেয়ে প্রথমে ধর্ষণ করেন । ধর্ষণের ঘটনা চাপা দিতে মেয়েটিকে হাসান শেখ গলা টিপে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ব্লেড দিয়ে তাঁর গলায় পোঁচ দেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত তরুণ স্বীকার করেছেন, ঘটনার সঙ্গে তিনি একাই জড়িত। আজ দুপুরে তাঁকে শ্রীপুর থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হাট শ্রীকোল এলাকার উত্তরপাড়ায় কুমার নদের পাশের বাঁশবাগান থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ পাওয়া যায়। তার পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় হাট শ্রীকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তাদের দাবি অভিযুক্ত হাসান শেখের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। তাঁরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানায়,র্যাব ইতিমধ্যে অভিযুক্ত তরুণকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেছে। মেয়েটিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।