স্ত্রীকে যাচাই করবেন যে জিনিস দিয়ে এবং দ্বীনদার নারীর গুণাবলী

আস সালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানি ও দোয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন।  আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট  নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি ।আশা করব পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত দেখবেন ।

স্ত্রীকে যাচাই করবেন যে জিনিস দিয়ে এবং দ্বীনদার নারীর গুণাবলী

নারী নামটা শুনলেই যেন মনে পড়ে যায়, সেই অজ্ঞতার যুগের কথা। যে সময় কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেও হত।  তাদের কোনো অধিকার, মর্যাদা ছিল না। তাদের কে  শুধুমাত্র দাসি রুপী ব্যবহার করা হতো ।তারপর ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগে আলোকিত করতে পৃথিবীর জমিনে সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গাম্বর নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করলেন।

যার আগমনে বদলে গেল পৃথিবীর। এক বিশেষ বানীতে  ইসলাম বলেছেন ,সমস্ত পৃথিবীটা সম্পদ এবং সর্বোত্তম সম্পদ হলো সৎ চরিত্রের নারী বা স্ত্রী ।হাদীসটি প্রকাশ হওয়া মাত্রই বেড়ে গেল নারীর মর্যাদা। নারীর মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করতে আল্লাহ তাআলা পর্দার আদেশ দিলেন

স্ত্রীকে যাচাই করবেন যে জিনিস দিয়ে এবং দ্বীনদার নারীর গুণাবলী

যাতে করে কেউ সহজেই এই নারীর রূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পারে। নারীদের খোলামেলা অবস্থায় দেখতে না পারে । তাদেরকে ঝিনুক খচিত মুক্তার সাথে তুলনা করা হয়েছে। যেমন মুক্তা ঠিক শক্ত আবরণ দিয়ে  আবরিত। এটিকে সযত্নে রাখা ছিল ।তাদের সৌন্দর্য এবং মর্যাদা হেফাজতে থাকে।

সর্বোত্তম সম্পদ হলো সৎ চরিত্রের নারী বা স্ত্রী

কারণ তাদের মূল্য অনেক বেশি। একই ভাবে নারীকেও অনেক মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাই তাকে হেফাজতের জন্য পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে।  একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন পৃথিবীতে যে জিনিসের দাম যত বেশি সে জিনিসকে তত বেশি যত্নে রাখা হয়।

ততবেশি প্রটেকশনে ঢেকে রাখা হয় ইসলামের নারীর মূল্য অনেক বেশি । তাই তাদের ঢেকে রাখা হয়। যত্নে রাখা হয় পর্দায় রাখা হয় । বর্তমানে কিছু মেয়ে আছে যে, তাদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে বেপর্দা খোলামেলা করছে এবং জিজ্ঞেস করলে বলা হয় আমাদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে পর্দার মাধ্যমে।

তাদের বেহায়াপনা চলাফেরা দেখি অসংখ্য যুবকের মাথা ঘুরছে । অসংখ্য যুবক বিপথগামী হচ্ছে ।কিন্তু সে সমস্ত নারী যারা নিজের মূল্য বুঝতে পেরে নিজেকে পর্দার মধ্যে থেকে যত্ন রেখেছে । তারা ইহকাল ও পরকাল তথা দুজাহানের জীবন ধন্য করেছেন।

বন্ধুরা আজকের  আলোচনা কোরবো একজন আদর্শবান সৎ চরিত্রের নারী  কয়েকটি গুণাবলী এবং স্ত্রীকে যাচাই করার জন্য কিছু বিষয় সম্পর্কে আমরা জানবো ইনশাল্লাহ । এসমস্ত গুনগুনি যদি কোনো নারীর মধ্যে থেকে থাকে ,তাহলে বুঝবেন নিঃসন্দেহে এই নারীটি আদর্শবান।

 একজন আদর্শবান স্ত্রী হলো ধৈর্যশীলতা

বিশেষ করে বিয়ের পূর্বে অবশ্যই যাচাই করে নিবেন। তো চলুন জেনে নিই আদর্শবান নারী বা স্ত্রীর কয়েকটি গুন। অতঃপর আমরা জানবো স্ত্রীকে যাচাই করার সেই রাত্রি বিষয় সম্পর্কে ইনশাআল্লাহ।   একজন আদর্শবান স্ত্রী হলো ধৈর্যশীলতা ।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন ইন্নাল্লাহা মা সবিরীন নিশ্চয়।

আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। সুতরাং ধৈর্যশীল নারীর সাথে ও আল্লাহ তাআলার সাহায্য থাকে। এ সমস্ত স্ত্রীরা পরিবারের সকলকে যেকোনো ধরনের মারাত্মক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন। এ সমস্ত স্ত্রীরা পিতা-মাতা ও স্বামীর সঙ্গে অযথা বিতর্ক করে না।

ধৈর্যের মধ্যে নিজেকে আগলে রাখে এবং পরবর্তীতে মিষ্টি সুরের যুক্তিসঙ্গতভাবে সমস্যার সমাধান করতে দেয়। বা সাহায্য করে সত্যবাদিতা ও কোমলতা একজন সত্যবাদী ও মিষ্টিভাষী স্ত্রী পরিবারের জন্য নেয়ামত স্বরূপ উত্তোলনকারী।

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিকট প্রিয় পর্দাসিল লজ্জাশীলতা আল্লাহপাক মুমিন নারী পুরুষের প্রতি পর্দা ফরজ করেছেন । পর্দা হলো একজন আদর্শ সম্ভ্রান্ত নারীর গুন।পর্দা মানুষের মধ্যে লজ্জা সৃষ্টি করে এবং যৌনকর্ম থেকে দূরে রাখে ।

পর্দা হলো একজন আদর্শ সম্ভ্রান্ত নারীর গুন

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। পর্দাশীল নারী যার তার সাথে যখন তখন মেলামেশা করতে পারে না। তারপরও লজ্জা তাকে হেফাজত  করে ।ইসলামী বিধান মোতাবেক স্ত্রীর যাবতীয় ভরণ-পোষণের দায়িত্ব  স্বামীর উপর আরোপিত । তথাপিও স্ত্রীকে স্বামীর সমার্থক দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা তার দায়িত্ব রয়েছে।

আদর্শবান ধার্মিক সচ্চরিত্রা স্ত্রী অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে যায় । চাই চাই আরো চাই অনেক দেওয়ার পরেও সন্তুষ্ট না এই মনোভাব কখনো কোন সৎ চরিত্রবান নারীর হতে পারেনা ।  সৎ চরিত্রবান নারীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার যা আছে তা নিয়ে আসি আলহামদুলিল্লাহ বলবে এবং সব সময় স্বামীর উপর সন্তুষ্ট থাকবে ।

12

উত্তম ব্যবহার আদর্শবান স্ত্রী অন্যতম বৈশিষ্ট্য।   স্ত্রী তার স্বামী ও স্বামী আত্মীয়-স্বজনের সাথে উত্তম ব্যবহার করবে। সে উত্তম নারী হিসেবে গণ্য হবে দুনিয়াতে।  সকলের আদরের পাখি ও শান্তির প্রতীক হয় এবং তাদের ইহকাল ও পরকাল ধন্য হয়ে যায়।

subhan’allah স্বামীর আনুগত্য সচ্চরিত্রের নারীরা বিয়ের পর স্ত্রী হয়ে যায় এবং স্বামীর আনুগত্য করে থাকে কারণ তারা স্বামীর মর্যাদা সম্পর্কে অবগত থাকে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যদি কারো জন্য সেজদার নির্দেশ দিতেন তাহলে স্ত্রীদের নির্দেশ দিতাম তাদের স্বামীকে সিজদা করতে ।

আর একটি হচ্ছে সন্তানকে ভালো শিক্ষা দেয়া

কিন্তু আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদা করা যাবে না। স্বামীর সম্পদের হেফাজত করা।  স্ত্রীর নিকট স্বামীর সম্পদ আমানত স্ত্রীর উচিত। স্বামীকে সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং স্বামীর অনুমতি ব্যতীত খরচ না করে। অবশ্যই স্বামীর সম্পর্কে নিজের সম্পদ মনে করে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।

আর একটি হচ্ছে সন্তানকে ভালো শিক্ষা দেয়া । একজন আদর্শবান স্ত্রী যখন সন্তানের মা হয়ে যান।  তখন তিনি নিজের সন্তানকে আদর্শবান করে তোলার চেষ্টা করতে থাকেন। আর ভাল মা থেকেই ভাল সন্তান আসা করা যায়।     সবায় ভাল  থাকবেন আল্লাহ হাফেয

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *