পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ত্রাস এডলফ হিটলার 60 লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করার পরেও ,মৃত্যুর পূর্বেই ইয়াহুদীদের দোষী করে একটি গোপন চিঠি লিখে গিয়েছিলেন। কি ছিল সেই চিঠিতে? কেন তিনি মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তার বান্ধবীকে মৃত্যুর 24 ঘন্টা পূর্বে বিয়ে করেছিলেন ।
হিটলার কেন ইহুদি নিধন করেছেন?
কেন তার স্ত্রী তার সাথে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে ? এডলফ হিটলার ইহুদি নিধন নিয়ে অজানা আরো তথ্য জানতে পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত দেখুন। অস্ট্রিয়ার বেরিয়ার মাঝামাঝি ব্রা নগরীতে 1889 সালের 20 এপ্রিল হিটলার এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।হিটলার ছিলেন তার বাবার তৃতীয় স্ত্রী তৃতীয় সন্তান।
ছোটবেলা থেকেই হিটলার ছিলেন এবং রক্তটা সামান্য ব্যাপারেই তিনি উঠতেন এবং অকারণে শিক্ষকদের সঙ্গে তর্ক করতেন । এমনকি আক্রমণ করতেন পড়াশোনার চেয়ে তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন বেশি। প্রথম জীবনে স্কুলে ভর্তি হয়।
সমাবেশ শেষ পর্যন্ত তার পড়াশোনা করা হয়নি। মা মারা গেলে সংসারের সব বন্ধন ছিন্ন করে হিটলার চলে যান ভিয়েনায় । সেখানে তিনি প্রথমে দিনমজুরের কাজ শুরু করে এবং কর্মজীবনের প্রথম থেকে তিনি বুঝতে পারেন এ পৃথিবীতে ইয়াহুদিরা শান্তিতে কোন ধর্মের মানুষকে কাজ করতে দিবেনা।
বসবাস করতে দিবে না । তখন থেকে তার অন্তরে ইয়াহুদীদের প্রতি বিদ্বেষ তৈরি হয়। ভিয়েনায় থাকাকালীন তার মনের মধ্যে প্রথমে জেগে উঠে প্রবর ইহুদিবিদ্বেষ । 1912 সালে তিনি ভিয়েনা ছেড়ে চলে আসেন। মিউনিখে এখানে অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যে দু বছর পার করলেন এবং 1974 সালের বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হলে হিটলারের সৈনিক হিসেবে যুদ্ধে যোগ দেন।
রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হতে থাকে1934 সালে
এরপর আস্তে আস্তে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হতে থাকে1934 সালে তৃণমূল থেকে উঠে আসা চৌকস হিটলার এক পর্যায়ে নিজেকে জার্মান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা ফুয়েরার হিসেবে ঘোষণা করে এবং অল্প দিনের মধ্যেই নিজেকে দেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। 1935 সালে তিনি এক নতুন আইন চালু করেন।
এই আইনের মাধ্যমে তিনি দেশের নাগরিকদের দুটি ভাগে বিভক্ত করলে। কারণ তিনি শুরু থেকে চেয়ে ছিলেন তার দেশে একজন ইয়াহুদী কর্তৃক থাকতে দিবেন না । তাই কৌশল করে এই আইনের ইয়াহুদীরা জার্মানিতে বসবাসের অধিকার পেলেও নাগরিকত্ব হারিয়ে ফেলে ।
- কিভাবে আপনি অপরিচিত ইমো নাম্বার বের করবেন, জেনে নিন
- সৌদিতে অত্যাচারের শিকার গৃহ কর্মী
- বিন লাদেনের মৃত্যুর শেষ কয়েক ঘন্টাই যা ঘটেছিল
হিটলার তার সমস্ত ক্ষমতার নিয়োগ করলেন সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে বিশ্বের সবচেয়ে1939 সালে পহেলা সেপ্টেম্বর জার্মান বাহিনী তার পার্শ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ড আক্রমণ করে এবং সেই দিন থেকে শুরু হয়ে যায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। বিশ্বজুড়ে একের পর এক ইয়াহুদী শক্তিকে হত্যার মধ্য দিয়ে একের পর এক দেশ দখল করতে থাকেন হিটলার ।
তিন বছরে হিটলার প্রায় 60 লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন
তিন বছরে হিটলার প্রায় 60 লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন তখনকার মানবাধিকার কর্মীরা তাকে যতই প্রশ্ন করত কেন আপনি নিশংসভাবে নিরপরাধ ইয়াহুদীদের হত্যা করছেন, তখন তিনি বলতেন আমি দশ লক্ষ ইহুদিকে আত্নহত্যা করতে পারিনি 60 লক্ষ করেছি তিনি পরবর্তীতে পৃথিবীর সকল মানুষকে জানিয়ে দিন।
কেন 60 লক্ষ কে আমি হত্যা করেছিলাম? ফ্রান্স পতনের পর 1948 সালের 22 শে জুন হিটলার রাশিয়া আক্রমণ করেন । আর এটাই হিটার এর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমদিকে জার্মান বাহিনীর সর্বোচ্চ জয়লাভ শুরু করলেও মিত্রশক্তি যখন সম্মিলিত হই অগ্রসর হতে শুরু করে, তখন আস্তে আস্তে হিটলারের বাহিনী পিছু হটতে থাকে।
29 এপ্রিল হিটলারের সর্বশেষ ভরসা 3-0 বাহিনীর ধ্বংস হয়ে যায় । যারা ছিল সবচেয়ে চৌকস বাহিনীর তখন বুঝতে পারেন তার স্বপ্ন চিরদিনের মত শেষ । বার্লিনের শেষ প্রান্তের বাহিনীর কামানের শব্দ শোনা যাচ্ছে ।এই পরিস্থিতিতে হিটলার তার সঙ্গিনীর বার্লিন ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।
ইফতারী ভাগে বিয়ে করেন
কিন্তু এই ভাতা গ্রহণ করেননি 29 এপ্রিল মধ্যরাতে বাংকারের মধ্যে ছোটখাটো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইফতারী ভাগে বিয়ে করেন । বিয়ের পর হিটলার তার সংগীতের সঙ্গে শ্যাম্পেইন পান করেন ভাবা যায় কতটা বিকৃত মস্তিষ্কের লোক হলে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও শ্যাম্পেন পান করতে পারে।
আবার বিয়েও করতে পারে এবং মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পূর্বে ঠান্ডা মাথায় দুটি চিঠি লিখেন ।একটি চিঠিতে তার সকল কর্মকান্ডের জন্য দায়ী করেন। ইয়াহুদীদের কে সেখানে তিনি লিখেন পৃথিবীর জন্য হুমকিস্বরূপ একটি জাতি । তারা হল ইয়াহুদী আর অন্যটিতে নিজের সব সম্পত্তি তার পার্টিকে দান করে যান ।
তথা পুরো জার্মান রাষ্ট্র টাকা দান করেছেন 30 এপ্রিল। 1945 সালের চারদিক অবরোধ করে ফেলেছে। লাল ফৌজ এর বুঝতে পারেন যে কোন মুহূর্তে তিনি লালফৌজ বাহিনীর হাতে বন্দী হতে পারে। ওই দিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি বাংকার থেকে 500 মিটার দূরে গিয়ে তার সহযোগীদের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করে এলেন।
এ সময় তিনি তার সহযোগীদের বললেন তাঁর মৃত্যুর পর যেন তার লাশ এমন ভাবে পড়ানো হয় যে তার দেহের একটি অংশ যেন শত্রুদের হাতে না পড়ে । এর কিছুক্ষণ পরই গুলির শব্দ শোনা গেল হিটলার নিজেই পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করলেন আর এর আগেই তার সদ্য বিবাহিত বউরা বিষপান করে দুজনে হাতে হাত।
তার মৃতদেহ পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া
আত্মহত্যা করেন চারদিক থেকে তখন গলায় এসে পড়েছে তখন হিটলারের দুই সেনা তার মৃতদেহ কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে বাগানে নিয়ে এলো সেই অবস্থাতেই তাদের পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া ।গোটা বিশ্ব যখন ধ্বংসের খেলায় মেতে রইল আর ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের ধ্বংস টা যেন এক প্রকার সেলিব্রেশন করলেন এডলফ হিটলার নামেদ মস্তিষ্কবিকৃত এই স্বৈরশাসক।