সিদ্ধান্ত নেন। এই ইনভেস্টিগেশনের কাজে ক্রিমিনালদের মাথায় ঘোরাঘুরি করতে করতেই উইলের পরিচয় হয় একজন সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে। তার নাম ডক্টর হ্যানিবল লেক্টার। ডক্টর লেক্টারের সাথে পরিচয়ের মুহূর্ত থেকে উইল গ্রাহামের জীবন পরিবর্তিত হয়ে চলতে শুরু করে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পথে, যে পথে মিশে আছে রক্ত, মৃত্যু, উন্মত্ততা আর ক্যানিবালিজম। আর দর্শকদের সামনে উন্মোচিত হয় উইল গ্রাহাম আর হ্যানিবল লেক্টারের একের পর এক পাগলামির অধ্যায়।
জন্ম হয় হ্যানিবল দ্যা ক্যানিবলের
সাহিত্য জগতের সবচেয়ে কুখ্যাত ও হিংস্র ক্যানিবল, হ্যানিবল লেক্টারের সাথে অনেকেরই পরিচিতি আছে। ১৯৮১ সালে টমাস হ্যারিসের ক্রাইম ফ্যান্টাসি ‘রেড ড্রাগন’ বইয়ে জন্ম হয় হ্যানিবল দ্যা ক্যানিবলের। এরপর থেকে বহু মাধ্যমে বহুবার এডাপ্টেড হয়েছে কুখ্যাত এই চরিত্র। ১৯৮৬ সালে রেড ড্রাগন প্রথম বড় পর্দায় এডাপ্ট করা হয় মাইকেল ম্যান পরিচিত Manhunter সিনেমায়। হ্যানিবল চরিত্রের এ যাবৎকালের সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় এডাপ্টেশন আসে ১৯৯১ সালে Silence of the Lambs সিনেমায় স্যার এন্থনি হপকিন্সের কালজয়ী উপস্থাপনায়।
এ পারফরমেন্সের জন্য হপকিন্স ১৯৯২ সালের একাডেমি এওয়ার্ডে বেস্ট এক্টর পুরস্কারে ভূষিত হন। দীর্ঘদিন পরে ২০০১ সালে পরিচালক রিডলি স্কট হপকিন্সের হ্যানিবলকে ফিরিয়ে আনেন সাইলেন্স অভ দ্যা ল্যাম্বস চলচ্চিত্রের সিক্যুয়েল Hannibal-এ। হ্যানিবল লেক্টারের পরের কিস্তি আসে সাইলেন্স অভ দ্যা ল্যাম্বসের প্রিক্যুয়েল চলচ্চিত্র ২০০২ সালের Red Dragon-এ। এরপরে আসে আমাদের আজকের আলোচ্য সিরিজ, ২০১৩ সালে শুরু হওয়া ব্রায়ান ফুলারের সৃষ্টি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার Hannibal।
ব্রায়ান ফুলার তার টিভি সিরিজে দেখাতে চেয়েছেন হ্যানিবলের শুরুর দিকের গল্প। এই হ্যানিবল এখনো উইল গ্রাহামের হাতে ধরা পড়েনি। এখনো সে সমাজের সম্মানিত এক মনোবিজ্ঞানী। এই ব্রিলিয়ান্ট সাইকিয়াট্রিস্টের ছদ্মবেশে চালানো পশুত্বের চিত্র উঠে এসেছে খুব নৈপুণ্যের সাথে। বিশেষ সতর্কতাঃ হ্যানিবল সিরিজে রক্ত আর নির্মমতার কোনো কার্পণ্য নেই। সরাসরি মানুষের মাথা কেটে মগজ বের করা থেকে পেট কেটে লিভার বের করা, মুখের চামড়া খুলে খুলে খাওয়া, এককথায় যতরকম বীভৎস দৃশ্য আছে সব স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে।
নতুন বীভৎসতার দেখা মেলে
প্রতি এপিসোডেই নতুন নতুন বীভৎসতার দেখা মেলে। এজন্য যাদের এ রকম দৃশ্য দেখার অভ্যাস না থাকে বা দেখলে সমস্যার অবকাশ থাকে তাহলে এটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো হবে। টিভি সিরিজটি নিয়ে কথা বললে সবার আগে টাইটেল ক্যারেক্টারে ম্যাডস মিকেলসেনের অভিনয়ের প্রশংসা দিয়েই শুরু করা যায়।
এন্থনি হপকিন্সের হ্যানিবল লেক্টারের পরে এই ক্যারেক্টার নিজের করে নেয়া ছিল অসম্ভবের কাছাকাছি এক কাজ। কিন্তু মিকেলসেনের শক্তিশালী পারফরমেন্স সেই অসাধ্য সাধন করতে পেরেছে। সিরিজের হ্যানিবলকে পুরোপুরিই তার নিজস্ব কাজ মনে হয়েছে।
হ্যানিবলের ব্যক্তিত্ব, উদ্যম, চিন্তার প্রক্রিয়া আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তার উন্মাদ প্রবৃত্তি সবকিছুই নৈপুণ্যের সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। হ্যানিবলের কয়েনের উল্টো পিঠ হচ্ছে উইল গ্রাহাম। এই চরিত্রে হিউ ড্যান্সির পারফরমেন্সকে অসাধারণ বললেও কম হয়ে যাবে।
হিউ ড্যান্সি সব দৃশ্যে, সব মুহূর্তে উইলের জটিল চরিত্রকে দক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন। সিরিজের সবগুলো চরিত্রই বেশ নিখুঁতভাবে কাজ করেছে।কিছু দারুণ পারফরমেন্সের অবদান আছে কয়েকজন অতিথি অভিনেতা-অভিনেত্রীর। তাদের মধ্যে দুজনের নাম উল্লেখ না করলেই নয়। মাইকেল পিট-এর মেসন ভার্জার আর জিলিয়ান এন্ডারসন-এর ডক্টর বেডিলিয়া ডি মরিয়ে
সিরিজে হ্যানিবলকে আমরা মূলত দেখি উইল গ্রাহামের চোখ দিয়ে। এ দিকটাই সিরিজটাকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। আমরা জানি যে হ্যানিবল লেক্টার শুধুই একজন সাইকিয়াট্রিস্ট না, কিন্তু উইলের চোখে সে তা-ই। একজন ক্রিমিনাল প্রোফাইল কর্মী, যার কাজই ক্রিমিনালদের মতো করে চিন্তা করা, তার এতো কাছে ভয়ংকর এক ক্যানিবল ঘুরে বেড়াচ্ছে কোনোরকম সন্দেহের বাইরে। পুরো সেটিংটাই অন্যরকম। সিরিজটির অন্যতম শক্তিশালী উপাদান এর রাইটিং।
সিরিজের মূল চরিত্র একজন
খুব জটিল সাইকোলজিক্যাল বিষয় নিয়ে গভীর কথাবার্তা আছে। যেহেতু সিরিজের মূল চরিত্র একজন সাইকিয়াট্রিস্ট আর মূল বিষয় মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দিক নিয়ে, সেহেতু জটিল সাইকোলজিক্যাল তর্ক-বিতর্কেই কাটে সিরিজের সিংহভাগ। কিন্তু রাইটিংয়ের কল্যাণে এই বিষয়গুলো যথেষ্ট উপযুক্ত ও আগ্রহোদ্দীপক হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
হ্যানিবল লেক্টারের লেগ্যাসিতে হ্যানিবল সিরিজ এক উপযুক্ত ও বিশেষ সংযোজন। সিরিজটি এই চরিত্রের মূল ভিত্তি সুন্দরভাবে ধরতে পারার মধ্য দিয়ে এই কালজয়ী চরিত্রে আরো কিছু মাত্রা যোগ করেছে। মাত্র তিন সিজনে শেষ হয়ে যাওয়া এই সিরিজের পুনর্জন্মের আশায় রয়েছে শত শত ভক্ত।
লিখেছেনঃ নাইমুর পরাগআজ মালায়লাম অভিনেতা ফাহাদ ফাসিলের জন্মদিন। তার অভিনীত জনপ্রিয় মুভিগুলোঃ- ‘থোন্ডিমুথালুম দৃকশাকশিয়্যুম’ ২০১৭ শ্রীজা ও প্রসাদের নতুন বিয়ে হয়েছে, দুজন বাসে যাত্রা করছে জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে। সেখানেই আসে গল্পের মোড়, বাসে শ্রীজার সোনার চেইন চুরি হয়ে যায়। চোরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু থানায় পৌছানোর আগেই চোর চেইন গিলে ফেলে। পরবর্তীতে পুলিশ সেই চেইন উদ্ধার করতে পারে কি না, এটাই সিনেমার গল্প
সিনেমায় ফাহাদ ফাসিল চোর এর চরিত্রে অভিনয় করেছে। সিনেমার বেশিরভাগ দৃশ্য থানার সেটে। সিনেমার অভিনেতাদের অভিনয় অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল বিশেষ করে সিনেমায় ফাহাদ ফাসিল এর অভিনয় দেখে ‘মাসুম’ এবং ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমার পরিচালক শেখর কাপুর’ বলেছিলেন, “”আমি আজ পর্যন্ত এত ভালো পারফরম্যান্স দেখিনি,””। সিনেমাটি তিনটি জাতীয় পুরস্কার জিতেছিল এবং ২০১৭ সালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়ফাহাদ ফাসিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে অনেকটা খুঁতখুঁতে।
একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
যদিও সূচিবায়ু টাইপ কিছু নয়। কিন্তু আশেপাশের পরিচ্ছন্নতা মুড রিফ্রেশ করে বলেই মানেন তিনি। গল্পটা হরিকৃষ্ণনের, ওসিডি-র সঙ্গে লড়াই করছেন একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তার সহকর্মীরা তাকে নিয়ে বিরক্ত। তার সাথে কাজ করতে পচন্দ করে না কেউই তখনি আসে কোম্পানির এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। যার জন্য হরি কে পাঠানো হয় ত্রিভেন্দ্রুমে।
- থ্রিলার দেখে প্রথমেই ডেভিড লিঞ্চের পরাবাস্তবতা
- ভারতে করোনাভ্যাকসিন হিসেবে গোমূত্র এবং কঠিন পরিণতি
- কিভাবে আপনি অপরিচিত ইমো নাম্বার বের করবেন, জেনে নিন
- গ্রামবাসীর কাছে এই শিশু যেন আল্লাহর রহমত
কিন্তু পৌঁছানোর আগে পথে দুজন অপরিচিত ব্যক্তির সাথে দেখা, যা চিরতরে তার জীবন ও জীবনের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দেয়। সিনেমাটি ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। এমনকি সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরষ্কার ফাহাদের ঝুলিতে আসে।
‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ক্লান্তিকর ভূমিকা’, বলেছেন ফাহাদ ফাজিল নিজেই। ফাহাদ ফাসিল সিনেমায় একজন মোটিভেশনাল স্পিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিল, যিনি পরে একজন আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পূর্ণ মহান ধর্ম নেতা হয়ে যান। মূলত, এই সিনেমাটি ধান্ধাবাজ আধ্যাত্মিক
প্রথম যখন সিনেমাটি দেখি
শক্তি সম্পূর্ণ মহান ধর্ম নেতাদের প্রতারণার উপর নির্মিত। প্রথম যখন সিনেমাটি দেখি, পুরো সিনেমায় আমি ফাহাদ ফাসিল কে ছাড়া কিছু দেখিনি এক সেকেন্ড ও চোখ সরাতে পারিনি তার অভিনয় এতটাই শক্তিশালী ছিল, যেকেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য। সিনেমায় ফাফার সঙ্গে রয়েছে নাজারিয়াও। মহেশিন্তে প্রত্যিকারম ২০১৬ গল্পটি মহেশের, বাবা এবং এক পোষা কুকুর এই তার পরিবার।
পেশাগত ভাবে মহেশ একজন ফটোগ্রাফার একটা ফটো স্টুডিও চালায়। এলাকার মধ্যে শান্তশিষ্ট ভালো ছেলে। হঠাৎ একদিন তার প্রতিবেশীর কারো সাথে ঝগড়া হয়ে যায়। মহেশ ব্যাপারটা সমাধানের জন্য গেল পরে তাকে মারধর করা হয়। মহেশ সবার সামনে বিব্রত বোধ করে। আর এক অদ্ভুত শপথ নেয়, যতক্ষণ না সে এর প্রতিশোধ না নেয়, সে জুতা পরবে না।